কলকাতা: প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) কিংপিন বলেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। টেট দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) যোগ থাকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল ইডি-র চার্জশিটে। কিন্তু প্রাথমিকের মামলায় এখনও ময়দানে নামেনি আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। সূত্রের খবর, টেট দুর্নীতি নিয়ে পার্থ ও মানিককে সাঁড়াশি চাপে ফেলতে এবার কোমর বাঁধছে সিবিআই। গত জুন মাসে সিবিআই প্রাথমিক দুর্নীতি নিয়ে মামলা রুজু করেছিল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও তৎপরতা দেখা যায়নি। সেই তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করছিল সিবিআই। এবার সেই পুরোদমে তদন্ত শুরু হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। প্রয়োজনে পার্থ ও মানিককে হেফাজতে নেওয়া হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার আচমকাই রাজ্যের শিক্ষা দফতরের অফিস বিকাশ ভবনে গিয়েছিল সিবিআই-এর একটি টিম। বেশ কিছুক্ষণ থাকার পর বেরিয়ে যান তাঁরা। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, পর্ষদের সার্ভার থেকে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। টেট দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থেই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতে পার্থ ও মানিক ভট্টাচার্যকে প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ইডি। চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। সম্প্রতি বিশেষ আদালতে মানিকের আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন সিবিআই তদন্ত শুরু না হওয়ার আগেই ইডি-র তৎপরতা কেন? বিচারকও এই বিষয়ে সিবিআই তদন্ত চলছে কি না জানতে চেয়েছিলেন।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের বক্তব্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এফআইআর হয়েছে আগেই। এতদিন কাউকে গ্রেফতার করা কিংবা তল্লাশি চালানো না হলেও, তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করার কাজ চলছিল। এবার এমন কিছু তথ্য হাতে এসেছে যে কারণে দুই মূল অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। তারই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, ইডি-র চার্জশিটে বলা হয়েছে, মানিক অর্থের বিনিময়ে চাকরি দিচ্ছেন জেনেও পার্থ চুপ ছিলেন। তারা দুজনেই যে এই দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত ও মোটা টাকা তাঁদের দুজনের পকেটে গিয়েছে, তা আদালতে জানিয়েছে ইডি।