CBI investigation missing case: তিন বছরেও বাড়ি ফেরেননি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া তৃষিত, এবার তদন্ত শুরু CBI-এর

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jan 27, 2023 | 8:07 PM

CBI investigation missing case: ছেলের খোঁজ পেতে হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা করেন ছাত্রের বাবা। সেই সময় তদন্ত করছিল সিআইডি।

CBI investigation missing case: তিন বছরেও বাড়ি ফেরেননি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া তৃষিত, এবার তদন্ত শুরু CBI-এর
প্রতীকী ছবি

Follow Us

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে নিউ আলিপুরের যুবকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করল সিবিআই (CBI)। কলকাতার নিউ আলিপুরের দুর্গাপুর কলোনির বাসিন্দা তৃষিত বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ (Missing) ছিলেন। বারবার পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হলেও কোনও লাভ হয়নি। অভিযোগ শুনে সেই ঘটনার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই মামলায় এবার তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় সংস্থা। ওই যুবক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশের যোগ থাকতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সিবিআই-এর স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই বিষয়ে একটি পৃথক মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র তৃষিত বিশ্বাস। প্রথমে পুলিশ, পরে সিআইডি তদন্তেও কোনও কিণারা হয়নি। এর মধ্যে একটি ফোন আসে তৃষিতের বাড়িতে। ছেলের হদিশ দেওয়া হবে বলে ওই ফোন এসেছিল। কিন্তু তারপরও কোনও খোঁজ মেলেনি।

খোঁজ না পাওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই পরিবার। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। গত বছরের নভেম্বরে সেই মামলার শুনানিতে পুরো ঘটনা শুনে তিনি নির্দেশ দেন, যাতে এই মামলা তদন্তভার নেয় সিবিআই। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, এটা আর পাঁচটা নিখোঁজ মামলার মতো নয়। এই ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশের একটি যোগ থাকার কথাও উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

পরিবারের দাবি, অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ জেনারেল ডায়েরি করলেও এফআইআর নেওয়া হয়নি প্রথমে। ঘটনার আট মাস পর এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। কিন্তু সেই ব্যক্তি জামিন পেয়ে যান। এরপর পুলিশ মামলা ক্লোজ করে দেয়।

পরে ছেলের খোঁজ পেতে হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা করেন ছাত্রের বাবা। সেই সময় তদন্ত করছিল সিআইডি। কিন্তু সিআইডি তদন্তেও কোনও কিনারা হয়নি। এর মধ্যে একটি ফোন আসে তাঁদের বাড়িতে। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, ছেলের হদিশ দেওয়া হবে বলে ওই ফোন এসেছিল। পরে আসে একটি চিঠি। আদালতের নির্দেশে ইন্টারপোলের সাহায্যে বাংলাদেশের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে সেই ফোন নম্বরের কোনও অস্তিত্ব নেই বলে জানানো হয়। এরপরেই নতুন মামলা দায়ের হয়।

Next Article