কলকাতা : খুন করার ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্র করেছিলেন শাসক দলের নেতারাই। এমন অভিযোগ বারবার তুলেছে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের পরিবার। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই সব প্রভাবশালী নেতাদের কেন ডাকা হচ্ছে না, তা নিয়ে অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার প্রশ্ন তুলেছিলেন। সিবিআই তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। বারবারই তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল ও তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দারের নাম সামনে এনেছিলেন তিনি। অবশেষে তাঁদের তলব করল সিবিআই। আগামী ১৭ মে, মঙ্গলবার দুই নেতাকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
২০২১- এর বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর ২ মে বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মৃত্যু হয়। কেউ বা কারা তাঁর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর তাঁর পরিবার উচ্চ আদালতের দারস্থ হয়। সিবিআই তদন্তের আবেদন জানান তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। এরপর সেই তদন্তভার গিয়ে পড়ে সিবিআই-এর ওপর। কিন্তু মৃত বিজেপি কর্মীর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার বারবার অভিযোগ করেন, এক বছর কেটে যাওয়ার পরও যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেলেঘাটার সেই বিধায়ক পরেশ পাল ও কাউন্সিলর স্বপন সমদ্দারকে এখনও পর্যন্ত সিবিআই দফতরে ডাকা হয়নি বা তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি।
এই অভিযোগ তুলে, গত ১৩ মে তারিখ শনিবার সিজিও কমপ্লেক্সের গেটের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন বিশ্বজিৎ সরকার। আজ, সোমবার তাঁকে সিবিআই দফতরে যেতে বলা হয়। তাঁর কাছে বিধায়ক এবং কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে কী কী নথি এবং প্রমাণ রয়েছে, নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল এ দিন। সেই মতোই বিশ্বজিৎ সরকার এ দিন সিবিআই দফতরে গিয়েছেন। অন্যদিকে, সিবিআই সূত্রে খবর, আগামিকাল মঙ্গলবার বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল ও কাউন্সিলর স্বপন সমদ্দারকে সিবিআই দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অভিজিতের পরিবারের দাবি, সরাসরি খুন না করলেও ষড়যন্ত্র যাঁরা করেছিলেন, সেই দলে ছিলেন পরেশ পাল ও স্বপন সমাদ্দার।