কলকাতা: এই নিয়ে চারবার। সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন তিলোত্তমা-কাণ্ডে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। তাঁর পাশাপাশি হাজিরা দিলেন আরজি করের ডোমও। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। তবে কি লাশকাটা ঘরেই লুকিয়ে রয়েছে আসল ক্লু? সন্দেহ একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা।
৯ অগস্ট তিনজনের মেডিক্যাল বোর্ড তিলোত্তমার ময়না তদন্ত করেছিল। সেই কারণে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ওই বোর্ডের বাকি দুই সদস্য রীনা দাস ও মলি বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। তবে আজ দেখা গেল, অপূর্ব বিশ্বাসের পাশাপাশি মর্গ অ্যাসিস্টেন্টদেরও (ডোম) জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ফলত, প্রশ্ন উঠছে কোথাও কি ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়ায় কোনও ত্রুটি ছিল? যা গোটা তদন্ত প্রক্রিয়াকে বিপথে পরিচালিত করছে?
প্রসঙ্গত, সিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করার পরই প্রথম প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কথা উল্লেখ করে। শীর্ষ আদালতেও সিবিআই উল্লেখ করে সন্ধেবেলা কেন পোস্টমর্টেম প্রক্রিয়া হল, চিঠিপত্রে ত্রুটি আছে বলেও মন্তব্য করে। একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথাও উল্লেখ করে তারা। তবে কী ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছে? কী প্রমাণ লোপাট হয়েছে? তার কী মোটিভ এখনও পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি বলেই খবর। সেই রহস্যের কিনারা করতেই কি তলব? উত্তর সময়ই দেবে। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরনোর সময় এক মর্গ অ্যাসিস্ট্যান্ট বলেন, “আমি ময়নাতদন্তের সময় ছিলাম না। আমার টেবিল ওয়ার্ক। আমি পেপারস ওয়ার্ক করি।”