কলকাতা : শুক্রবার দুপুরে আচমকাই শিক্ষা দফতরের অফিস বিকাশ ভবনে হাজির সিবিআই (CBI)। নীচের তলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ওয়ার হাউসে সোজা প্রবেশ করে তারা। সিল খোলা হয় ওয়ার হাউসের। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় পরতে পরতে অভিযোগ সামনে আসছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দাদের হাতে যে নিত্য নতুন তথ্য আসছে, চার্জশিট থেকে তা স্পষ্ট। কারা এই সব দুর্নীতির মাথা? কারা নম্বর বদলে দিতেন? কাদের কথায় নিয়োগ হত? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মরিয়া সিবিআই। এরই মধ্যে সিবিআই-এর টিম বিকাশ ভবনে হানা দেওয়ায় বাড়ছে জল্পনা। জানা গিয়েছে, আগেই থেকেই সিল করা ছিল ওই ওয়ার হাউস। শুক্রবার সেটি খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। পরে সেখান থেকে বের করে আনা হয় বেশ কিছু নথিপত্র।
শুক্রবার সিবিআই-এর তিন থেকে চার জনের একটি টিম বিকাশ ভবনে পৌঁছয়। পর্ষদের ওয়ার হাউস খুলে নথি নিয়ে তারা পুনরায় সিল করে দেয় সেটি। এরপর বিকাশ ভবনের পাঁচ তলায় শিক্ষ মন্ত্রীর ঘরের পাশে সচিবালয়ের ঘরেও ঢোকে তারা। সিবিআই সূত্রে খবর, সেখানে যে সব কম্পিউটার রয়েছে সেগুলো খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর তিনজন অপারেটরকে বেশ কিছু বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। নতুন কোনও তথ্যের খোঁজে সিবিআই বিকাশ ভবনে গিয়েছিল বলে সূত্রে খবর। যদিও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, তিনি থাকাকালীন কেউ যাননি বিকাশ ভবনে, তাঁর সঙ্গে কোনও আধিকারিকের দেখাও হয়নি।
উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।কমিশন সুপারিশ করলেও পর্ষদই নিয়োগপত্র দিত। তাই নিয়োগ সংক্রান্ত নথি বের করতেই শিক্ষা দফতরের অফিসে সিবিআই হানা দিয়েছিল কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে। গত কয়েকদিনে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে একাধিক ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি উত্তরপত্রে দেখা যাচ্ছে, কার্যত সাদা খাতা জমা দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে অনেকের চাকরিও বাতিল হয়েছে।