‘আগে থেকে জানানো সত্ত্বেও কেন নিজাম প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ?’ পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্ট তলব সিবিআই-এর

May 20, 2021 | 10:57 AM

নারদ-কাণ্ডে (Narara Case) চার নেতাকে গ্রেফতার করার আগে কলকাতা পুলিশকে জানানো হয়েছিল বলে দাবি সিবিআই (CBI)-এর।

আগে থেকে জানানো সত্ত্বেও কেন নিজাম প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ? পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্ট তলব সিবিআই-এর
চার নেতার গ্রেফতারির পর নিজাম প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ তৃণমূলকর্মীদের (ফাইল ছবি)

Follow Us

কলকাতা: এই মুহূর্তে জেল হেফাজতে রাজ্যের দুই মন্ত্রী। আরও এক বিধায়ক-সহ চার নেতার গ্রেফতারিতে গত কয়েকদিনে রাজ্য-সিবিআই সংঘাত চরমে উঠেছে। গত সোমবার নারদ-কাণ্ডে ওই গ্রেফতারির পর নিজাম প্যালেসের সামনে তৃণমূলকর্মীদের যে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে, তাতে রীতিমত রুষ্ট কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিতেও সামনে এসেছে সেই ইস্যু। আর এবার সিবিআই-এর তরফে এই ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া হল কলকাতা পুলিশের কাছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে সিবিআই।

গত সোমবার অর্থাৎ ১৭ মে গ্রেফতার করা হয় দুই মন্ত্রী-সহ চার নেতাকে। গ্রেফতার হন পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়ার পরই বাইরে ভিড় জমান তৃণমূলের বহু কর্মী-সমর্থক। ব্যারিকেড সরিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়, চলে ইট বৃষ্টিও। দিনভর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ভার্চুয়াল শুনানি হয় সে দিন। কিন্তু ওই পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা কী ছিল? গ্রেফতারির কথা জানানো সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হল না? এবার কলকাতা পুলিশের কাছে এই বিষয়েই রিপোর্ট চেয়েছে সিবিআই।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, চার হেভিওয়েটে বাড়িতে যাওয়ার আগে সিবিআই-এর তরফে লোকেশন পাঠানো হয়েছিল কলকাতা পুলিশকে। যথাযথ পুলিশি নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। ওই দিন সকালেই ইমেল মারফত আবেদন করা হয়। এর পাশাপাশি গ্রেফতারের পর নিজাম প্যালেসের বাইরে বিক্ষোভের সময় কত পুলিশ ফোর্স ছিল?সেই বাহিনী কার নেতৃত্বে মোতায়েন করা হয়েছিল? বিক্ষোভকারীরা কতজন ছিলেন? তাঁদের মধ্যে কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা, এ সবই জানতে চাওয়া হয়েছে ওই রিপোর্টে।

আরও পড়ুন: এক রাতেই শারীরিক অবস্থার বেশ খানিকটা বদল! ফিরহাদের তত্ত্বাবধানে জেলের সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার

তবে গতকাল, বুধবার নিজাম প্যালেসের বাইরে ওই বিক্ষোভের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের করা হয়। তিনজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। হিংসা ছাড়ানোর পাশাপাশি অবৈধ জমায়েত-সহ একাধিক ধারায় গুরুতর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ নম্বর ধারায় একাধিক মামলা রুজু হয়েছে। আদতে ওই সে দিনের বিক্ষোভ তৃণমূলের দিকেই ব্যুমেরাং হয়ে আসছে। অতিমারির মধ্যে এই ধরনের জমায়েত নিয়ন্ত্রণে কেন প্রশাসন ব্যবস্থা নিল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাই পুলিশের মামলায় মুখরক্ষার চেষ্টা হচ্ছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

Next Article