কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলায় তৎপর সিবিআই। ফের একবার তথ্য সংগ্রহে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এ ছাড়া মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতেও গিয়েছিলেন প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার যাদবপুরে তাঁর ২ টি বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় সিবিআই। তাঁর সম্পত্তি নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছে আদালতে। সম্পত্তির পাশাপাশি নিয়োগ সংক্রান্ত নথির খোঁজ পেতে আধিকারিকরা গিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি সংসদের অফিসে গিয়ে সার্ভার খতিয়ে দেখতে পারেন তাঁরা।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বোর্ড সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। এ ছাড়া নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কী কী সম্পত্তি রয়েছে। মানিক বাবু জানিয়েছিলেন, নদিয়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়ি আছে। সেখানে কিছু জমিও আছে। বর্তমানে তিনি ৬৫০ স্কোয়ার ফুটের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। যাদবপুরেই আরও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। এ দিন সেই দুটি ফ্ল্যাটের তল্লাশি চালানো হয়। রত্না বাগচীর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে এ দিন।
তদন্তের কাজে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভার রুমেও গিয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। যে সব নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, সে সব নিয়োগ সংক্রান্ত কী তথ্য রয়েছে, সেটাই খতিয়ে দেখতে চান তাঁরা। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে দুটি আলমারির চাবি বানানোর জন্য ডাকা হয়েছে চাবি বানানোর লোককে।
উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই প্রথমে ডাক পড়ে মানিক ভট্টাচার্যের। পরে আদালত মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে অপসারিত করার নির্দেশ দেন। বলা হয়, যতদিন পর্যন্ত না নতুন সভাপতি নিয়োগ করা হচ্ছে, ততদিন দায়িত্ব সামলাবেন রত্না বাগচী। তবে মানিককে পদ থেকে সরাতে রাজি নয় রাজ্য। এই দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।