পোর্টাল নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের যুক্তি ওড়ালেন হর্ষ বর্ধন, আঙুল তুললেন রাজ্যের পরিকাঠামোর দিকে

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Feb 06, 2021 | 9:49 PM

কেন্দ্রের পোর্টালে কিছু প্রযু্ক্তিগত সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তবে সেটা কখনই এতটা বড় হতে পারে না যার জন্য টিকাকরণ প্রক্রিয়া স্লথ হয়ে পড়বে

পোর্টাল নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের যুক্তি ওড়ালেন হর্ষ বর্ধন, আঙুল তুললেন রাজ্যের পরিকাঠামোর দিকে
ফাইল চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়া মন্থর হওয়ার জন্য সরাসরি কেন্দ্রের কোউইন পোর্টালকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। শহরে পা রেখে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন (Harsh Vardhan) সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন। কেন্দ্রের পোর্টালে কিছু প্রযু্ক্তিগত সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তবে সেটা কখনই এতটা বড় হতে পারে না যার জন্য টিকাকরণ প্রক্রিয়া স্লথ হয়ে পড়বে, এমনটাই দাবি তাঁর।

শুক্রবার শহরে পা রেখে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন হর্ষ বর্ধন। সেখানেই TV9-এর প্রতিনিধি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দাবির কথা জানান। জবাবে তিনি দেশের বিরাট জনসংখ্যার কথা উল্লেখ্য করে দাবি করেন, ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে এই পোর্টাল কোনও সমস্যা ছাড়াই কাজ করে। তাঁর কথায়, “অল্পবিস্তর সমস্যা প্রথমদিকে, হয়েছিল তবে সেগুলো ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।” সহ্য ক্ষমতার থেকেও বেশি চাপ এই পোর্টালের সার্ভারে পড়ছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। সেই কারণে কখনও-সখনও সমস্যা হলেও তা টিকাকরণের জন্য বাধা নয় বলেই জানিয়েছেন। পালটা রাজ্যের পরিকাঠামো নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।

অন্যদিকে, আগামী মাস থেকে ৫০ উর্ধ্বদের টিকা দেওয়ার কাজও শুরু হয়ে যাবে বলে এদিন জানিয়ে দেন হর্ষ বর্ধন। এই মাসে প্রথম সারির যোদ্ধাদের টিকা দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই প্রবীণদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তবে খুব তাড়াতাড়ি খোলা বাজারে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে না বলেই তিনি জানিয়েছেন। বরং যখন যেমন দরকার হবে সেই ভিত্তিতে নাগরিকদের টিকা দেওয়া হবে, আশ্বাস স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের পোর্টালের জন্যই মন্থর হচ্ছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া, কড়া ভাষায় কটাক্ষ স্বাস্থ্যকর্তার

পাশাপাশি, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়েও সরকারকে খোঁচা দেন তিনি। হর্ষ বর্ধনের কথায়, ১০ বছর শাসনে থাকলে যে পরিকাঠামো থাকা উচিত ছিল তা তৈরি হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়শই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টাকা আটকে রাখার যে অভিযোগ তোলেন তারও জবাব দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলেন, কেন্দ্র রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজ ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরিতে সাহায্য করেছে। টিকাকরণের জন্যও কেন্দ্র রাজ্যের দিকে সমস্ত রকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে রেখেছে বলে তিনি দাবি করেন।

আরও পড়ুন: পোর্টাল-বিভ্রাটের মধ্যেই দ্বিতীয় দফার টিকাকরণে জোর কেন্দ্রের, মেপে পা রাজ্যের

 

 

Next Article