কলকাতা: আদালতের নির্দেশের পরই সিআরপিএফের ঘেরাটোপে এসএসসি অফিস। TV9বাংলার ক্যামেরায় দেখা যায়, রাত তিনটের সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে উপস্থিত হয় এসএসসি দফতরের বাইরে। আদালতের নির্দেশ ছিল, রাত সাড়ে বারোটার মধ্যে এসএসসি অফিস সল্টলেকের আচার্য সদন ঘিরে ফেলবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারপর আর কেউ ঢুকতে পারবেন না ভিতরে। এসএসসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগের পর সল্টলেকের এসএসসি ভবনের নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি উঠেছিল। হাইকোর্টে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ নির্দেশ দেয় রাত সাড়ে বারোটার পর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১ পর্যন্ত সল্টলেকের এসএসসি ভবন আচার্য ভবনে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় সামরিক বাহিনী। ঠিক রাত ২টো ৫০ মিনিট নাগাদ আসে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আধিকারিকরা ভিতরে ঢোকেন। দফতরের কর্মী কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ঠিক ৩টে ২০ মিনিট নাগাদ দফতর ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। নিরাপত্তার জন্য এক কোম্পানি অর্থাৎ ৭০ জন করে সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। এক প্ল্যাটুন করে ১৫ জন জওয়ান প্রত্যেক শিফটে পাহারার দায়িত্বে থাকবে। এসএসসি অফিসের বাইরে ও ভিতরে মোতায়েন রয়েছে সিআরপিএফ।
প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়ে হাইকোর্টে নজিরবিহীন শুনানি চলে বুধবার। রাত সাড়়ে দশটা থেকে ১২ টা পর্যন্ত শুনানি চলে হাইকোর্টে। নথি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকেই এসএসসি দফতরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসির চেয়ারম্যান বদলের পর থেকে অফিসের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ জমা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার মধ্যে ফুটেজ পেশ করার নির্দেশ।
এ প্রসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, “রাজ্যের একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর নাম উঠে এসেছে। সেজন্য রাজ্য নিয়ন্ত্রিত কোনও এজেন্সি যেন এসএসসি ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে না থাকে, কেউ যাতে ভিতরে ঢুকে নথি নষ্ট করতে না পারে, তার জন্য আমরা আবেদন করি। বিচারপতি এই মামলাটি শোনার পর সিআরপিএফ-কে নির্দেশ দেন।”
প্রসঙ্গত, বুধবারই বিকালে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গোয়েন্দারা বার বার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেছিলেন কত টাকার আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। প্রায় তিন থেকে চার বার তাঁকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবার তিনি জানিয়েছেন, কোনও আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে তিনি জানতেন না। একজন মন্ত্রী হিসেবে কোন কাগজে কী সুপারিশ থাকছে, তা তিনি জানতেন না। সূত্রের খবর, সিবিআই গোয়েন্দাদের এমনই জানিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। বরং পুরো বিষয়টি চেয়ারম্যানের উপরেই তিনি ঠেলে দিয়েছেন বলে খবর।