NITI Ayog Meeting: নীতি আয়োগের বৈঠকে চন্দ্রিমার নামে ‘না’ কেন্দ্রের, আবার কি দিল্লির সঙ্গে সংঘাত বাংলার?
Chandrima Bhattacharya: সাম্প্রতিককালে বাংলার প্রতি কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ বার বার সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা। একশো দিনের কাজের টাকা, আবাসের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দু'দিন ধরনাতেও বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা: নীতি আয়োগের (NITI Ayog) বৈঠক ঘিরে ফের কেন্দ্র ও রাজ্যের সংঘাতের বাতাবরণ। নীতি আয়োগের বৈঠকের জন্য রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের (Chandrima Bhattacharya) নামে সম্মতি দিল না কেন্দ্র। রাজ্যের তরফে নীতি আয়োগের বৈঠকের জন্য বাংলার প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্যের অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। শনিবার তাঁদের বৈঠকে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নামে সম্মতি দেয়নি কেন্দ্র। শনিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নীতি আয়োগের ওই বৈঠকে সাধারণভাবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীর থাকার কথা। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের বৈঠকে যেতে পারেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে শনিবার শালবনিতে মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থির হয়।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে বাংলার প্রতি কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ বার বার সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা। একশো দিনের কাজের টাকা, আবাসের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দু’দিন ধরনাতেও বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমন অবস্থায় শনিবার রাজধানী দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার তরফে কী কী ইস্যু তুলে ধরা হয়, সেই দিকে নজর ছিল রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের। কিন্তু শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক কর্মসূচি পড়ে যাওয়ায় নীতি আয়োগের বৈঠকে রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও রাজ্যের অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল।
তবে এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, চন্দ্রিমার নামে সম্মতি দেয়নি কেন্দ্র। ফলে নীতি আয়োগের বৈঠক ঘিরে আবারও রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা। এখন দেখার পরবর্তী সময়ে এই ঘটনা প্রবাহ কোন দিকে মোড় নেয়।