কলকাতা: আপাতত স্বস্তি পেলেও কম্বল বিতরণ-কাণ্ডের তদন্তে আসানসোল পুরনিগমের কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারিকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় কম্বল বিতরণের সময় পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আর সেই ঘটনায় এফআইআর হয় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালির বিরুদ্ধে। বারবার তাঁর বাড়িতে গিয়েও ফিরতে হচ্ছে পুলিশকে। নোটিস দিয়েও কোনও লাভ হয়নি। পরে নোটিস খারিজের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত বন্ধ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি।
চৈতালি তিওয়ারির বিরুদ্ধে নোটিস খারিজ করার মামলা আদৌ কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, পুলিশ দু’দিন জিজ্ঞসাবাদ করতে পারবে চৈতালিকে। তবে তিন সপ্তাহের জন্য রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে বিজেপি নেতার স্ত্রীকে। এর মধ্যে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারবেন তিনি।
আদালতে এ দিন চৈতালির আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার জানান, এই ঘটনা (পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা) দুঃখজনক। কিন্তু ৩০৪ পার্ট টু ধারায় নোটিস কীভাবে দেওয়া হল? সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ছোট জায়গায় আয়োজনের জন্য দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এফআইআরে।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, তদন্ত না করার নির্দেশ কীভাবে চাইতে পারেন? নোটিসের ওপর স্থগিতাদেশ কেন দেওয়া হবে? তদন্ত চলতে দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মঙ্গলবারের পর ফের বৃহস্পতিবার চৈতালি তেওয়ারির বাড়িতে যায় পুলিশ। তবে তাঁকে বাড়িতে না পেয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে আবার ফিরে যায় তারা। পুলিশ যে নোটিস দিয়েছিল, তাতে লেখা ছিল, ‘উইদাউট ফেল’ চৈতালি তেওয়ারি যেন নিজের আবাসনে থাকে ও সব তথ্য কাছে রাখেন। তাঁকে এই মামলার তদন্তে জেরা করা হবে। সেই মতো এদিন ফের পুলিশ আসে। কিন্তু এদিন বাড়ি তালা বন্ধ ছিল।