BJYM Rally: মিছিল যাদবপুরের গেটের কাছে যেতেই বদলাল চেহারা, উঠল জুতো-লাঠি! শুভেন্দু বললেন, ‘মাকু-সেকু হুঁশিয়ার’

Aritra Ghosh | Edited By: Soumya Saha

Aug 25, 2023 | 7:19 PM

BJYM Rally: মিছিল থেকে উঠতে থাকে একের পর এক স্লোগান। কখনও জয় শ্রীরাম ধ্বনি। কখনও মাওবাদ বিরোধী স্লোগান। কেউ স্লোগান তুললেন, 'মাওবাদীদের গালে গালে জুতা মারো তালে তালে', কারও মুখে আবার শোনা গেল, 'মাওবাদীদের চামড়া গুটিয়ে দেব আমরা'। নকশাল, লেনিনবাদের 'চামড়া গুটিয়ে দেওয়ার' হুঁশিয়ারিও শোনা গেল।

BJYM Rally: মিছিল যাদবপুরের গেটের কাছে যেতেই বদলাল চেহারা, উঠল জুতো-লাঠি! শুভেন্দু বললেন, মাকু-সেকু হুঁশিয়ার
যুব মোর্চার মিছিল ঘিরে উত্তাল হল যাদবপুরের চার নম্বর গেট
Image Credit source: টিভি নাইন বাংলা

Follow Us

কলকাতা: হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে মিছিল। মিছিলের একেবারে সামনের সারিতে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘মিছিল রাস্তা দিয়ে চলছে, ক্যাম্পাসে ঢোকার কোনও ইচ্ছা নেই।’ মিছিল ক্যাম্পাসে ঢোকেনি বটে, কিন্তু যুব মোর্চার মিছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটের কাছে পৌঁছতেই উত্তাল হল এলাকা। মিছিল থেকে উঠতে থাকে একের পর এক স্লোগান। কখনও জয় শ্রীরাম ধ্বনি। কখনও মাওবাদ বিরোধী স্লোগান। কেউ স্লোগান তুললেন, ‘মাওবাদীদের গালে গালে জুতা মারো তালে তালে’, কারও মুখে আবার শোনা গেল, ‘মাওবাদীদের চামড়া গুটিয়ে দেব আমরা’। নকশাল, লেনিনবাদের ‘চামড়া গুটিয়ে দেওয়ার’ হুঁশিয়ারিও শোনা গেল। কেউ আবার স্লোগান তুললেন এসএফআই-এর বিরুদ্ধে। স্লোগান উঠল, ‘এসএফআই যাদবপুর থেকে দূর হঠো। যুব মোর্চা রাজপথে মাকু-সেকু হুঁশিয়ার।’

পরিস্থিতি তপ্ত হতে শুরু করতেই ৪ নম্বর গেটের সামনে পুলিশি ব্যবস্থাপনা শুরু হয়ে যায়। গেটের সামনে যাদবপুর থানার একটি গাড়ি রেখে দেওয়া হয়। যাতে কেউ গেট দিয়ে ঢুকতে বা বেরোতে না পারেন। এদিকে তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই চার নম্বর গেটের সামনে রাস্তায় বসে পড়েন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা। গেটের সামনে বসেই স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। মিছিল থেকে জুতো দেখানোর অভিযোগও উঠে আসছে। কাউকে কাউকে লাঠি উঁচিয়ে স্লোগান দিতেও দেখা যায়। পুলিশের সঙ্গে বচসার খণ্ডচিত্রও এদিন ধরা পড়ে মিছিলে।

জানা যাচ্ছে, মিছিল যখন যাদবপুরের চার নম্বর গেটের সামনে পৌঁছয় এবং মিছিল তুলতে শুরু করে, সেই সময় গেটের ভিতর থেকেও পাল্টা কিছু স্লোগান উড়ে আসে। আর তারপরই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় চার নম্বর গেট চত্বর। মিছিল থেকে যুব মোর্চার কিছু সমর্থক জুতো উঁচিয়ে, লাঠি উঁচিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর থেকে যাঁরা স্লোগান দিচ্ছিলেন, তাঁদের দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরের ভিতরে ‘নেশার আসর বসে’ বলেও ক্ষোভ উগরে দেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা। এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মিছিল শেষ হয় বিজেপি যুব মোর্চার। মিছিল শেষে গাড়িতে চেপে বেরনোর সময় বিধানসভার বিরোধী দলনেতাও বলে গেলেন, ‘মাকু-সেকু হুঁশিয়ার।’

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের ভিতরে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের বক্তব্য ‘ওরা নিজেদের মতো মিছিল করে গিয়েছে। স্লোগান দিয়ে গিয়েছে। প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা সেই প্ররোচনায় পা দেয়নি। কেউ ওদের পাত্তা দেয়নি।’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের চেয়ারপার্সন সঞ্জীব প্রামাণিক বলছেন, ‘বিজেপির নিজেদের মধ্যে লড়াই। কে অমিত শাহর কাছে বেশি ফুটেজ পাবে, তার জন্য এই মিছিল।’

Next Article