কলকাতা: গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela) হোক বা অন্যান্য সময়, সাগরে কপিলমুনির আশ্রমে ভিড় লেগে থাকে প্রায় গোটা বছরই। কিন্ত, আশ্রম সংলগ্ন সমুদ্রপাড় লাগাতার ভাঙতে থাকায় তা নিয়ে বিগত কয়েক বছরে কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়েছে প্রশাসনের। ভাঙন রুখতে নেওয়া হয়েছে একাধিক ব্যবস্থা। কিন্তু, কাজে আসেনি কিছুই। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে জাপানি মডেলের পাইলট প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিল সরকার। কিন্তু, দিনের শেষে ব্যর্থ হয়েছে তাও। সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে সব প্রচেষ্টা। বর্তমানে কপিল মুনি আশ্রমের অদূরেই ধরা পড়েছে ভাঙন। তার জেরে অন্যত্র সরাতে হচ্ছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। তাতেই আরও বেড়েছে চিন্তা। ভাঙন ঠেকাতে তৎপর রাজ্য প্রশাসন।
সূত্রের খবর, কীভাবে সমুদ্রের করালগ্রাস ঠেকানো যায় তার জন্য তড়িঘড়ি বৈঠকে বসছেন সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। ভাঙন রোধে পাকাপাকি ব্যবস্থা করতে তৈরি করা হবে মাস্টার প্ল্যান। সূত্রের খবর, আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলার আগেই বাস্তবায়িত হবে এই মাস্টার প্ল্যান। কপিল মুনি আশ্রমের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকে নজর রেখেই যাবতীয় পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, “কপিলমুনি আশ্রমের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। খেয়াল রাখা হচ্ছে। এটাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য।”
সূত্রের খবর, বর্তমানে কপিলমুনির আশ্রম থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে রয়েছে সমুদ্র। ভেঙে গিয়েছে আগে থাকা সমস্ত পাড়। ভাঙন চলছে রোজই। একটু একটু করে সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে সবটাই। সে কারণেই ভাঙনের হাত থেকে আশ্রমকে বাঁচাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করা দরকার বলে মনে করছে সরকার। এখন দেখার মাস্টার প্ল্যানের হাত ধরে কী পরিকল্পনা নেওয়া হয়।