কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে এবার সরাসরি সিপিএমকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনতলার হস্টেল থেকে পড়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই র্যাগিংতত্ত্ব সামনে এসেছে। পুলিশের হাতে প্রচুর তথ্যপ্রমাণও এই মুহূর্তে। এরইমধ্যে র্যাগিং নিয়ে সিপিএমকে বিঁধলেন সোমবার বেহালার এক কর্মসূচি থেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জামা কাপড় খুলে নিচ্ছে। নীচে যখন পড়ে আছে একটা গামছা পরানো। সেটাও হয়ত পরে কেউ পরিয়ে দিয়েছে। এই তো অত্যাচারের নিপুণ নিশানা। আজও লজ্জা নেই।” সরাসরি বলেন, “কিছু আগমার্কা সিপিএম আছে, তারা মনে করে নতুন ছেলেমেয়েরা গ্রাম বাংলা থেকে এসে ঢুকলেই তাদের উপর অত্যাচার করা ওদের অধিকার।”
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর কারণ যে অত্যাচার, সে কথাই এদিন বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “যাদবপুরের ছেলেটিকে অত্যাচার করতে করতে…। আমি ফোন করেছিলাম ওর বাবাকে। আমাকে বলেছেন, ‘দিদি জানেন ও খুব কাঁদত আর বলত আমার উপর অত্যাচার হচ্ছে। আমি পরদিনই যাব ঠিক করেছিলাম। বগুলা থেকে এত দূর। কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি আমার ছেলেকে ওরা অত্যাচার করে উপর থেকে ছুড়ে ফেলে দেবে। আমার ছেলেকে অত্যাচার করে উপর থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমি এর বিচার চাই দিদি, আর কিছু না। ছেলেকে তো আর খুঁজে পাব না’।”
এরপরই সরাসরি সিপিএমকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “কারা এরা? মার্ক্সবাদী। এখনও বড় বড় কথা। এখনও বিজেপির সঙ্গে ঘর করছে। কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে ঘর করছে। তৃণমূল ওদের এখনও এক নম্বর শত্রু। ওদের লজ্জাবোধ, আবেগ বিবেক বলে কিছু নেই। ছেলেটি একটি মাদুলি পরেছিল। বলছে খোল খোল। এটা রেড ফোর্ট। মানে ওদের জমিদারি। ওখানে পুলিশকে ঢুকতে দেয় না, সিসিটিভি লাগাতে দেয় না। র্যাগিং করে ছাত্রদের উপর যা তা।”
শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রীও
মিথ্যাচারে নেমে পড়লেন।
যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর
দায় চাপালেন “মার্কসবাদী” দের ঘাড়ে।
তদন্ত প্রভাবিত করার ষড়যন্ত্র?
নিজের বাহিনী ধরা পড়ে যাবে
– সেই ভয়ে?নানান চক্রান্ত চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অথবা শিক্ষার
মর্যাদা রক্ষা করা করবেন
“জাল ডক্টরেট”
তা কি সম্ভব!! pic.twitter.com/zFWmCQEN5n— Dr.Sujan Chakraborty (@Sujan_Speak) August 14, 2023
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, যাদবপুরের মতো গর্বের বিশ্ববিদ্য়ালয় এখন আতঙ্কপুর হয়ে গিয়েছে। মমতা বলেন, “আমি দুঃখিত, স্তম্ভিত, মর্মাহত। আমি যার জন্য সব জায়গায় গেলেও যাদবপুরে যেতে চাই না। ওরা পড়াশোনায় ভাল হতে পারে, কিন্তু শুধু পড়াশোনায় ভাল হলে সে মানুষ হয় না যদি বিবেক না থাকে, যদি মানবিক না হয়। সবাই খারাপ তা নয়। ছাত্রছাত্রীদের আমি দোষ দিই না।”
এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রীও মিথ্যাচারে নেমে পড়লেন। যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর দায় চাপালেন ‘মার্কসবাদী’ দের ঘাড়ে। তদন্ত প্রভাবিত করার ষড়যন্ত্র? নিজের বাহিনী ধরা পড়ে যাবে সেই ভয়ে?”