Mamata Banerjee: ‘আমি ভোর ৪টে অবধি জেগে ছিলাম’, গতকালের রাত নিয়ে মুখ খুললেন মমতা

Deeksha Bhuiyan | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 15, 2024 | 8:51 PM

Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বুধবার রাতে আরজি করের হামলার ঘটনায় ডিসি অসুস্থ হয়ে পড়েন, অজ্ঞান হয়ে যান। 'সারা শরীর রক্তে ভেসে গিয়েছে ওদের অত্যাচারে', বলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি ভোর ৪টে অবধি জেগে ছিলাম। যতক্ষণ না ওকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে ও আনকনশাস ছিল, মাথায় লেগে খুব রক্ত বেরোচ্ছিল।"

Mamata Banerjee: আমি ভোর ৪টে অবধি জেগে ছিলাম, গতকালের রাত নিয়ে মুখ খুললেন মমতা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Follow Us

কলকাতা: আরজি করে বুধবার রাতে তাণ্ডবের ঘটনায় মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ নেবে, বললেন তিনি। আরজি করের ছাত্রী খুনে ফাঁসির সাজা হোক, মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, আগামিকাল শুক্রবার পথে নামছেন তিনি। মিছিল করবেন রাজপথে। একইসঙ্গে পুলিশকে নিগ্রহ করা নিয়েও সরব হলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বলেন, “পুলিশের পোশাক পুড়িয়ে দিয়েছে, জঘন্য ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। তাদের মারধরের কারণ কী? টোটাল রিপোর্ট, ভিডিয়ো, পোস্ট মর্টেমের সবই তো মা, বাবাকে দেখিয়ে এসেছে।”

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

বুধবার কলকাতার রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ডাক দেওয়া হয়। হাজার হাজার মহিলা পথে নামেন। আরজি করেও বহু মানুষ ভিড় করেন। রাত যত বাড়তে থাকে, আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ায় আরজি কর। এরইমধ্যে আচমকা বিশাল জমায়েত থেকে শুরু হয় অশান্তি, মারামারি ভাঙচুর,। এরপর হাসপাতাল চত্বর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। মার খান ডিসি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি ভোর ৪টে অবধি জেগে ছিলাম। যতক্ষণ না ওকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে ও আনকনশাস ছিল, মাথায় লেগে খুব রক্ত বেরোচ্ছিল। তবে পুলিশকে সাধুবাদ দেব, ওরা ধৈর্য হারায়নি। শান্তির জন্য কাউকে আঘাত করেনি এটা ভাল। আন্দোলনের পরিসীমা আন্দোলনকারীদের মাথায় রাখতে হয়। আন্দোলন করে বড় হয়েছি। কোনওদিন হাসপাতালে গিয়ে তাণ্ডব করিনি। বাবরি মসজিদের সময় রাইটার্স থেকে কেউ বেরোচ্ছিল না। আমি নিজে বুদ্ধবাবুদের গিয়ে বলেছিলাম বলুন আমার কোনও সাহায্য় লাগবে কি না। আমিই একা রাস্তায় ছিলাম তখন।

বুধবারের রাতে অশান্তিতে কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে আরজি কর হাসপাতালের দু’টি তল। অর্থের ক্ষতি তো বটেই, ওষুধের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এত সহজে মেটানো যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। স্যালাইন, অক্সিজেন, ওষুধ সমস্ত কিছু শেষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি বিশ্বাস করেন কোনও ছাত্র ছাত্রী এ কাজ করেননি। তাঁর বক্তব্য, বাইরে থেকে রাজনৈতিক দলগুলি ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। তাতেই এই অশান্তি।

Next Article