Patient Refer: মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি সার! শ্বাসনালিতে বাঁশি নিয়েই তিন তিনটি হাসপাতাল ঘুরল শিশু

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 22, 2022 | 5:21 PM

Kolkata Patient refer: শ্বাসনালীতে বাঁশি আটকে যাওয়া এক শিশুকে ভর্তি নিতে অস্বীকারের অভিযোগ উঠল দুই সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে।

Patient Refer: মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি সার! শ্বাসনালিতে বাঁশি নিয়েই তিন তিনটি হাসপাতাল ঘুরল শিশু
চিকিৎসা চলছে শিশুর

Follow Us

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার কড়া ধমক দিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতর এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের। সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীকে রেফার করে দেওয়ার ঘটনা বারংবার উঠে এসেছে। কিন্তু তারপরও কি পরিস্থিতির কোনও বদল ঘটেছে? সোমবারের পর ফের একবার রোগী রেফারের ঘটনা প্রকাশ্যে এল। শ্বাসনালীতে বাঁশি আটকে যাওয়া এক শিশুকে ভর্তি নিতে অস্বীকারের অভিযোগ উঠল দুই সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে।

আহত নাবালকের নাম সাহাবুল আখুন। পরিবারের বক্তব্য, গতকাল বিকেলে সাহাবুল বাড়ির কাছে বাঁশি নিয়ে খেলছিল। সেই সময় আচমকা বাঁশি গিলে ফেলে সে। এবার ওই বাঁশিটি আটকে যায় শ্বাসনালীতে। পরিবারের তরফে তৎক্ষনাত নাবালককে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় পদ্মেরহাট হাসপাতালে। এরপর সেখান থেকে তাকে রেফার করা হয় বারুইপুর হাসপাতালে। পরিবারের দাবি সেখান থেকে চিকিৎসকরা রেফার করেন কলকাতার সরকারি হাসপাতালে (চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল)। এরপর সেখানে ভর্তি নেওয়া হয়। তবে কিছু সময় পেরিয়ে গেলে ফের শিশুটিকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে রেফার করে চিত্তরঞ্জন।

বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে শিশুটির। গলার ভিতর থকে বের করে আনা হয়েছে বাঁশি। আপাতত সুস্থ রয়েছে বাচ্চাটি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক জানান, ‘বাচ্চাটি যখন কাশছিল তখন বাঁশির মতো শব্দ পাচ্ছিলাম। এরপর সঙ্গে-সঙ্গে আমরা শিশুটিকে জরুরি ভিত্তিতে ভর্তি করি। তারপর ওর ডান ফুসফুস থেকে বাঁশিটি বের করা হয়। বর্তমানে সুস্থ রয়েছে ওই শিশু।’ অপরদিকে শিশুটির বাবা সইফুদ্দিন বলেন, ‘দোকান থেকে একটি বাঁশি কিনে এনেছিল। সেই বাঁশিটি কোনও ভাবে গিলে খেয়ে নেয় ও। এবার কাসার সময় বাঁশির মতো শব্দ হতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে আমার স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করাই। সেখান থেকে বারুইপুর হাসপাতাল ও পরে চিত্তরঞ্জনে স্থানান্তরিত করে। ওখানে সিটি স্ক্যান করে ওকে ছেড়ে দেয়।’

উল্লেখ্য, গতকাল শহরে রোগী রেফারের অভিযোগ উঠেছিল। বেহালার এক বৃদ্ধাকে তিনটি হাসপাতালে স্থানান্তিত করার হয়েছিল। শেষে চিকিৎসা না পেয়েই বেহালার বাসিন্দা ওই বৃদ্ধাকে বাড়ি ফিরে যেতে হয়। প্রসঙ্গত, গতকালই নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে রোগী রেফার কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা জেলার হাসপাতালের চিকিৎসকদের রোগী রেফার করার ঘটনায় এদিন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষত, গর্ভবতী মহিলাদের রেফার করা হলে ৪-৫ ঘণ্টা গাড়ির ধকলের জেরেই অনেকের মৃত্যু হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তারপরও একই ঘটনা পুনরায় সামনে এল।

Next Article