কলকাতা : গত কয়েকদিনে রাজ্যে যে অশান্তির ছবি দেখা গিয়েছে, তাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেওয়ার পরও বিক্ষোভ, অবরোধের ঘটনা সামনে এসেছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও কড়া নজর রাখছে প্রশাসন। সোমবার এই বিষয়ে বৈঠক বসছে নবান্নে। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে হবে এই বৈঠক। সেখানে জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।
জেলাশাসক দের নিয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হবে সেই বৈঠক। রাজ্যের সব জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। পরিস্থিতি যাতে আর নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, তার জন্য কী পদক্ষেপ করা হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হবে বলেই সূত্রের খবর। সম্প্রতি রাজ্যের তিনটি জেলা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর এসেছে নবান্নে। তা নিয়ে ওই পর্যালোচনা বৈঠক করা হতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল।
বিগত দু’দিনে হাওড়ার বিস্তৃর্ণ এলাকায় কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যার জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় জনজীবন। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় শান্তির বার্তাও দিয়েছিলেন। আইন হাতে তুলে না নিতেও জনসাধারণের কাছে আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন খোদ রাজ্যাপালও। ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবের থেকে রিপোর্টও তলব করেছেন। তার মধ্য়ে সুকান্তর গ্রেফতারি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিস্তর চাপান-উতর। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। গত শনিবারই রাজভবনে যায় বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল, সেখানে ছিলেন রাহুল সিনহা, প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল, অগ্নিমিত্রা পাল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, রবিবার পুলিশের ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার শুভেন্দুর কনভয় হাওড়ার দিকে এগোতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় শুভেন্দুকে। পরে মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না মঞ্চ থেকে তিনি প্রশ্ন তোলেন, বিরোধী দলনেতাকে কেন যেতে দেওয়া হচ্ছে না? মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশের ভয় কীসের? কেন আটকানো হচ্ছে?