কলকাতা: সংসদে হানার ঘটনায় বঙ্গ যোগ বা আনন্দপুরে শিশু চুরি চক্র ফাঁস, দু’টি ঘটনাতেই ফের শহরে ভাড়াটেদের তথ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। দু’টি ঘটনাটিতে দেখা যাচ্ছে, যে বা যারা অভিযুক্ত, তারা একের পর এক বাড়ি ভাড়া নিয়ে থেকেছে। কিন্তু কোনওরকম সঠিক নথি বাড়ির মালিকদের দেয়নি। উপযুক্ত নথি না দিয়েই দিনের পর দিন বাড়ি পাল্টে বসবাস করেছে এবং নিজেদের কর্মকাণ্ডের জাল বুনেছে।
আনন্দপুর শিশু চুরি চক্রের যে তিনজন দালাল মহিলা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে একই ছবি। তারা বারবার ঘর ভাড়া নিয়েছে এবং নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পরেই সেই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে। সংসদে স্মোক বোম্বকাণ্ডে মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা’র ক্ষেত্রেও একই ছবি। সেও একের পর এক বাড়িতে থেকেছে। কিন্তু বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকার জন্য যে নথি জমা করা দরকার, তার ধারে কাছে দিয়েও যায়নি।
কারা বাইরে থেকে এসে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকছেন, তাঁদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য নথিবদ্ধ করার জন্য কলকাতা পুরনিগম এ-৭৫ ফর্ম চালু করেছিল। কিন্তু সেই ফর্ম পূরণ করে পুরসভাকে সঠিক নথি দেওয়ার কাজ শহরের মোট জনগণের মাত্র ১০ শতাংশই করে থাকে বলে রিপোর্ট খোদ পুর প্রশাসনের। পুর কর্তারা আশা করেছিলেন, কলকাতার নাগরিক নিজেরা সতর্ক থাকতে এবং নিরাপদে থাকতে এই ফর্মটি পূরণ করে পাঠাবেন। কিন্তু পুরসভা সূত্রে খবর, মাসকয়েক আগে এই সংক্রান্ত বৈঠকে এক অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে উঠে আসে মাত্র ৬ শতাংশ মানুষ সংশ্লিষ্ট ফর্ম পূরণ করে পুরসভায় জমা করেছে। প্রায় ৫০ লক্ষের বাসিন্দার শহরে ৮ লক্ষ বাড়ি রয়েছে পুরসভার নথি অনুযায়ী। পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এই ফর্মের একটি করে কপি কলকাতা পুলিশের কাছে পাঠাবে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, এত অল্প সংখ্যক তথ্য আসায় পুর কর্তারাও হতাশ।
নিউটাউনে গুলিকাণ্ডে ভিন রাজ্য অথবা বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বাসিন্দাদের কলকাতায় বাড়ি ভাড়া করে থাকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তখনও এই ফর্ম কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে পুলিশ এবং পৌরসভার মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। এমনকি মাঝখানেক আগে দক্ষিণ শহরতলির হরিদেবপুর থেকে বেশ কয়েকজন জঙ্গি ধরা পড়ে। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স তদন্ত করতে গিয়ে দেখে, ভুয়ো নথি দিয়ে ওই জঙ্গিরা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল। তখনও শহরের বাড়ির মালিকদের ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংক্রান্ত সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
এই ফর্ম পূরণের মাধ্যমে ট্র্যাক রাখা সম্ভব হয়, বাইরের রাজ্য অথবা অন্য জেলা থেকে কলকাতায় এসে থাকছেন বা কতজন কতজন আসছেন বা কী করতেই আসছেন। কলকাতা পৌরসভার অন্তর্গত বরো ১২’ র অধীনস্থ যাদবপুর, পূর্ব যাদবপুর, মুকুন্দপুর, পঞ্চসায়র, সার্ভে পার্ক, গড়ফা, আনন্দপুর, কসবা, ইএম বাইপাসের দু’ধারে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি হাসপাতাল গত কয়েক বছরে তৈরি হয়েছে। ফলে এক লাফে বহিরাগতদের আসা-যাওয়া কত কয়েক বছরে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। যা বছর বছর বাড়ছে। এই তথ্য যথেষ্ট চিন্তায় রাখছে কলকাতা পুলিশ প্রশাসনকে।
কলকাতা: সংসদে হানার ঘটনায় বঙ্গ যোগ বা আনন্দপুরে শিশু চুরি চক্র ফাঁস, দু’টি ঘটনাতেই ফের শহরে ভাড়াটেদের তথ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। দু’টি ঘটনাটিতে দেখা যাচ্ছে, যে বা যারা অভিযুক্ত, তারা একের পর এক বাড়ি ভাড়া নিয়ে থেকেছে। কিন্তু কোনওরকম সঠিক নথি বাড়ির মালিকদের দেয়নি। উপযুক্ত নথি না দিয়েই দিনের পর দিন বাড়ি পাল্টে বসবাস করেছে এবং নিজেদের কর্মকাণ্ডের জাল বুনেছে।
আনন্দপুর শিশু চুরি চক্রের যে তিনজন দালাল মহিলা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে একই ছবি। তারা বারবার ঘর ভাড়া নিয়েছে এবং নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পরেই সেই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে। সংসদে স্মোক বোম্বকাণ্ডে মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা’র ক্ষেত্রেও একই ছবি। সেও একের পর এক বাড়িতে থেকেছে। কিন্তু বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকার জন্য যে নথি জমা করা দরকার, তার ধারে কাছে দিয়েও যায়নি।
কারা বাইরে থেকে এসে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকছেন, তাঁদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য নথিবদ্ধ করার জন্য কলকাতা পুরনিগম এ-৭৫ ফর্ম চালু করেছিল। কিন্তু সেই ফর্ম পূরণ করে পুরসভাকে সঠিক নথি দেওয়ার কাজ শহরের মোট জনগণের মাত্র ১০ শতাংশই করে থাকে বলে রিপোর্ট খোদ পুর প্রশাসনের। পুর কর্তারা আশা করেছিলেন, কলকাতার নাগরিক নিজেরা সতর্ক থাকতে এবং নিরাপদে থাকতে এই ফর্মটি পূরণ করে পাঠাবেন। কিন্তু পুরসভা সূত্রে খবর, মাসকয়েক আগে এই সংক্রান্ত বৈঠকে এক অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে উঠে আসে মাত্র ৬ শতাংশ মানুষ সংশ্লিষ্ট ফর্ম পূরণ করে পুরসভায় জমা করেছে। প্রায় ৫০ লক্ষের বাসিন্দার শহরে ৮ লক্ষ বাড়ি রয়েছে পুরসভার নথি অনুযায়ী। পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এই ফর্মের একটি করে কপি কলকাতা পুলিশের কাছে পাঠাবে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, এত অল্প সংখ্যক তথ্য আসায় পুর কর্তারাও হতাশ।
নিউটাউনে গুলিকাণ্ডে ভিন রাজ্য অথবা বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বাসিন্দাদের কলকাতায় বাড়ি ভাড়া করে থাকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তখনও এই ফর্ম কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে পুলিশ এবং পৌরসভার মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। এমনকি মাঝখানেক আগে দক্ষিণ শহরতলির হরিদেবপুর থেকে বেশ কয়েকজন জঙ্গি ধরা পড়ে। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স তদন্ত করতে গিয়ে দেখে, ভুয়ো নথি দিয়ে ওই জঙ্গিরা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল। তখনও শহরের বাড়ির মালিকদের ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংক্রান্ত সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
এই ফর্ম পূরণের মাধ্যমে ট্র্যাক রাখা সম্ভব হয়, বাইরের রাজ্য অথবা অন্য জেলা থেকে কলকাতায় এসে থাকছেন বা কতজন কতজন আসছেন বা কী করতেই আসছেন। কলকাতা পৌরসভার অন্তর্গত বরো ১২’ র অধীনস্থ যাদবপুর, পূর্ব যাদবপুর, মুকুন্দপুর, পঞ্চসায়র, সার্ভে পার্ক, গড়ফা, আনন্দপুর, কসবা, ইএম বাইপাসের দু’ধারে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি হাসপাতাল গত কয়েক বছরে তৈরি হয়েছে। ফলে এক লাফে বহিরাগতদের আসা-যাওয়া কত কয়েক বছরে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। যা বছর বছর বাড়ছে। এই তথ্য যথেষ্ট চিন্তায় রাখছে কলকাতা পুলিশ প্রশাসনকে।