কলকাতা: রোগী ভর্তি প্রত্যাখানে শিশুমৃত্যুর অভিযোগ। প্রসূতি মায়ের চিকিৎসায় গাফিলতি কেন? প্রশ্নের মুখে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগ। গিরিশ পার্কের বাসিন্দা এক মহিলার ঘটনায় জোর চাঞ্চল্য চিকিৎসা মহলে। বুধবার সন্তানসম্ভবা ওই মহিলাকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার ফের প্রসূতিকে আনা হলেও বেড জোটেনি বলে অভিযোগ।
শনিবার ভোর রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় রোগিণীর। এবার তাংকে ভর্তি করলেও গর্ভস্থ সন্তানকে বাঁচানো যায়নি। বুধবার-বৃহস্পতিবার কেন ফিরিয়ে দেওয়া হল? কেন দেখা হল না গর্ভস্থ সন্তানের হৃদস্পন্দন? গুরুতর অভিযোগের মুখে প্রসূতি বিভাগ। তবে গর্ভস্থ সন্তানের হৃদস্পন্দন দেখা জরুরি ছিল। এ কথা মানছেন মেডিক্যালের এমএসভিপি অঞ্জন অধিকারী।
এদিকে প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসায় গাফিলতি এড়াতে একাধিকবার সতর্কবার্তা জারি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি রোগী প্রত্যাখানে নজর দেওয়ার জন্য কলকাতায় থাকা মেডিক্যাল কলেজগুলিকে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য ভবনও। এরপরও যে হুঁশ ফিরছে না তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা। প্রসূতি মা’কে ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ায় গর্ভস্থ সন্তানের অভিযোগ উঠল শনিবার। সূত্রের খবর, গিরিশ পার্কের বাসিন্দা পাখি মণ্ডল সন্তানসম্ভবা ছিলেন। বুধবার রাতে প্রসবজনিত সমস্যার কারণে পাখিকে মেডিক্যালের ইডেন বিল্ডিংয়ে নিয়ে যান তাঁর পরিজনেরা। সেদিন তাঁকে ভর্তি না নিয়ে ইঞ্জেকশন দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তাঁর পরিবাদের সদস্যদের।
বৃহস্পতিবার বিকালে ফের রোগিণীকে নিয়ে মেডিক্যালে যান পরিজনেরা। সেদিনও ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর শনিবার ভোরে প্রসূতি মা সঙ্কটজনক হয়ে পড়লে তবে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। অস্ত্রপোচারের কারণে পাখিকে নিয়ে যাওয়া হলেও তিনি মৃত সন্তান প্রসব করেন। পরিবারের দাবি, বুধবারই ভর্তি নিলে এই ঘটনা ঘটত না। অভিযোগ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ জানান, গর্ভস্থ সন্তানের শনিবারের আগেই মৃত্যু হয়েছিল। তবে বুধবার কেন তাঁকে ভর্তি করা হল না সেটা দেখা জরুরি। বুধবার গর্ভস্থ সন্তানের হৃদস্পন্দন দেখা হয়েছিল কি না সেটাও দেখতে হবে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে জোর শোরগোল চলছে নানা মহলে।