কলকাতা : মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে অনিমেষ তিওয়ারির নামে কোনও সুপারিশ করা হয়নি। তারপরও অনিমেষ সেই বছর চাকরি পেয়েছেন, যে বছর কোনও নিয়োগই হয়নি। আর মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) যে স্কুলে তিনি ভূগোল পড়ান, সেই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক তাঁর বাবা আশিস তিওয়ারি। সেই মামলার তদন্তে এবার গোথা এআর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে তলব করল সিআইডি (CID)। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি তাঁকে তলব করা হয়েছে ভবানী ভবনে। প্রধান শিক্ষক ছাড়াও এই মামলার তদন্তে সংশ্লিষ্ট ডিআই অফিসের কর্মীদেরও তলব করা হয়েছে। কারা এই নিয়োগ সম্পর্কে জানতেন, কারা এই নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত, তা খোঁজার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।
অনিমেষ তিওয়ারির নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা করেছেন সোমা রায় নামে এক মহিলা। আরটিআই থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই মামলা করেছিলেন তিনি। অভিযোগ ছিল, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মেধাতালিকায় নাম ছিল না অনিমেষের। কোনও সুপারিশও হয়নি তাঁর নামে। অন্যের নাম থাকা সুপারিশ পত্র আর নিয়োগপত্র নিয়েই অনিমেষ চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। আতাউর রহমানের নামে সুপারিশ করা হয়েছিল বলে দাবি করেছিল পর্ষদ। শুধু তাই নয়, অরবিন্দ মাইতি নামে আর এক চাকরি প্রার্থীর নিয়োগপত্র নকল করে চাকরি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ অনিমেষ তিওয়ারির বিরুদ্ধে।
এমন অভিযোগে কার্যত বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতিও। সিবিআই ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করছে। এ ক্ষেত্রে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। ডিআই-এর ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। এরপরই ডিআই অফিসের কর্মীদের তলব করা হয়।