কলকাতা : ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের মামলায় এবার আরও সক্রিয় রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা। এবার অশোক ধানুকা নামের এক ব্যক্তিকে নোটিস পাঠাল সিআইডি। জানা গিয়েছে, তিনি অসমের একজন শিল্পপতি। আগামিকাল (সোমবার) সকাল ১০ টায় তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে ভবানিভবনে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ এই ব্যবসায়ী টাকা দিয়েছিলেন। সিআইডি প্রতিনিধি দল যখন তাঁর বাড়িতে নোটিস দিতে যায়, তখন দেখা তাঁর বাড়ির সামনে পাহারায় রয়েছে অসম পুলিশ। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই হাওড়ার পাঁচলা থাকা এলাকায় একটি কালো রঙের গাড়ি থেক লাখ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। গাড়ির ভিতরে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক। ওই টাকার উৎস কী, সেই সম্পর্কে কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি বিধায়করা। এরপরই তাঁদের আটক করা হয়, পরে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে রাজ্যের সিআইডি।
বিধায়কদের গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া লাখ লাখ টাকার উৎস কী, তার উত্তর খুঁজতে তৎপর হয়ে উঠেছেন সিআইডি গোয়েন্দারা। এই নিয়ে দিল্লি পর্যন্তও চলে গিয়েছিলেন রাজ্যের গোয়েন্দাদের একটি প্রতিনিধি দল। কিন্তু সেখানে দিল্লি পুলিশের তরফে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে। এমনকী সিআইডি প্রতিনিধি দলকে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। চলতি মাসের শুরুতেই রাজধানীতে সিদ্ধার্থ মজুমদার নামে মহারাষ্ট্রের এক নেতার বাড়িতে অভিযান চালান সিআইডি অফিসাররা। অভিযোগ, সেই সময় দিল্লি পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। ওয়ারেন্ট থাকার পরেও তাঁদের থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এবার অশোক ধানুকা নামে অসমের এক ব্যবসায়ীকেও হাজিরার নোটিস পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই ব্যবসায়ী অসমের মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ।
প্রসঙ্গত, এর আগে কলকাতায় বিকানের বিল্ডিং-এ একটি ট্রেডিং সংস্থার অফিসে হানা দিয়ে বেশ কয়েক লাখ টাকা উদ্ধার করেছিলেন সিআইডি আধিকারিকরা। ওই অফিসটির মালিক মহেন্দ্র আগরওয়ালকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এবার অসমের এই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও নতুন কোনও তথ্য সিআইডি গোয়েন্দারা পান কি না, সেই দিকেই নজর থাকছে।