কলকাতা: নির্বাচনে সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic volunteers) কাজে লাগানোয় রয়েছে আদালতের নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, সেসব না মেনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শুরুর দিন থেকে মাঠে নামানো হচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। নামাচ্ছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু, কেন? উত্তর দিতে গিয়ে অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) জবাব, “ওরা শুধুই সমাজসেবা করে। সেই কাজেই ওদের লাগানো হচ্ছে।” এদিন কুণাল বলেন, “যাঁরা বৃদ্ধ, বয়স্ক প্রার্থী হতে চান তাঁদের হাত ধরে নিয়ে যাওয়া, কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না দেখা এসব কাজই করছে ওরা। মূলত সমাজসেবা মূলক কাজের জন্য সিভিক ভলান্টিয়াররা আছে। কিন্তু, আচমকা যদি কোনও গন্ডগোল হয় তখন যে কোনও নাগরিকের কর্তব্য সেটাকে থামিয়ে দেওয়া। এর সঙ্গে কোর্টের নির্দেশের অবমাননার কোনও সম্পর্ক নেই।”
প্রসঙ্গত, ডোমজুড়, খড়গ্রাম-সহ একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি উঠে এসেছে। খড়গ্রামে মৃত্যু হয়ছে এক কংগ্রেস কর্মীর। এই ঘটনায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক আরও ১। কেন এমন পরিস্থিতি হচ্ছে তা নিয়ে জেলাশাসকদের থেকে রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলবও করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে চাপানউতর।
এদিকে মনোনয়ন জমার জায়গায় মাথায় হেলমেট, হাতে লাঠি নিয়ে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কুণাল বলেন, “আসলে ওরা তো সমাজসেবার জন্যই ছিল। এখন যদি দেখে কংগ্রেস, সিপিএমের লোকেরা ইট-পাথর মারছে তাই তাদের বাঁচার জন্য প্রোটেকশন দেওয়া হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই শুভেন্দু টুইটে দাবি করেছেন, পঞ্চায়েত ভোটে সিভিক ভলান্টিয়ারদের মাঠে নামনোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। তাঁর দাবি, পুলিশের পোশাকে সিভিক ভলান্টিয়াররা থাকবেন পঞ্চায়েত ভোটে। তাঁর দাবি, স্বরাষ্ট্র দফতরের একটা সূত্র থেকে তিনি এই খবর পেয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে কুণালের কটাক্ষ, “শুভেন্দুর রোজ বড় বড় কথা বলে যাওয়া ছাড়া কোনও কাজ নেই। ভোট পুলিশ করবে। রাজ্য পুলিশ এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন যেখানে বাড়তি নিরাপত্তা কর্মী দেওয়ার প্রয়োজন করবে তা তারা আইন মেনেই করবে। আমরা ২০০৩ সালের বামফ্রন্ট জমানার সন্ত্রাসের দিন আমরা আর ফিরতে দেব না।”