মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Image Credit source: Tv9 Bangla
শারদোৎসবের সূচনার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোর উদ্ধোধনে গিয়েছেন মমতা। এর পাশাপাশি ভার্চুয়ালি আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া,বীরভূমের দুবরাজপুরের দু’টি ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার সঙ্গে ৫০ টি অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা যুক্ত মটরবাইকের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে উপস্থিত চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য,শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়,ব্রাত্য বসু ,পার্থ ভৌমিক,সুপ্তি পান্ডে,নির্মল ঘোষ ও কৃষ্ণা চক্রবর্তীরা।
এক নজরে সব আপডেট
- মমতা: আমি আদি গঙ্গার পাশে থাকি ছোট থেকে। আজ বড় গঙ্গা দেখতে দেখতে এলাম পুরো ভর্তি। আকাশের মুখটা দেখলাম পুরো গম্ভীর। মেঘলা-মেঘলা। কাল মহালয়া। আবার সূর্যগ্রহণ আছে। তার একটা প্রভাব পড়ে। যদিও আমাদের এখানে দিন নয় রাত। অনেক জায়গায় দিন। সারা পৃথিবী জুড়ে হয় বলে এদিকেও পড়বে। তার প্রভাব শুরু হয়ে গিয়েছে।
- মমতা: এবার উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে বন্যা হয়েছে। আমি ত্রাণ দেওয়া থেকে শুরু করে সব করেছি। এমনকী এবার আমরা দলের নাম ব্যবহার করিনি। সবটাই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করার চেষ্টা করেছি। আমার অনেক সহকর্মীরা সাহায্য করেছেন। একটা জায়গায় কিচেন তৈরি করে খাবার দেওয়া যায়। আমরা চাল-ডাল-আলু-দুধের প্যাকেট সব দিয়ে ছেলেমেয়েদের দিয়ে প্যাকেট করিয়েছি। পার্থ ভৌমিক প্রথম ত্রাণ বানিয়ে দিয়েছিলেন। আমি সেটা ঘাটালে পৌঁছই পুলিশকে দিয়ে। বড় ২০০০ প্যাকেট দিয়েছে। ওইটা আমরা ভূতনীতে দিয়েছি। ঘাটাল-খানাকুলে ত্রাণ পাঠিয়েছি। হাওড়ার ছেলেমেয়েরা উদয়নারায়ণপুরে ত্রাণ দিয়েছে। এছাড়াও জল ছাড়া হয়েছে নেপাল থেকে কোশী নদী। প্রায় ৬ লক্ষ কিউসেক ওয়াটার। আগে ডিভিসি ছেড়ে দক্ষিণবঙ্গকে ভিজিয়েছিল। এবার উত্তরবঙ্গকে ভিজিয়েছে। তাদের জন্য মালদহর রতুয়া, হরিশচন্দ্রপুর,গাজোলে ত্রাণ গিয়েছে। এটা তো ম্যানমেড বন্যা। তৈরি করে দেওয়া।
- মমতা: শ্রীভূমিতে লক্ষ-লক্ষ মানুষ আসেন পুজো দেখতে। আমি বলব ট্রাফিক যেন ঠিকঠাক থাকে। আগেরবার আপনারা খুব কেয়ার করেছিলেন। এবারও দয়া করে কেয়ার করবেন। কারণ এয়ারপোর্ট যাওয়ার রাস্তা এটা। তাই তারা যাতে কেউ বিমান মিস না করেন তা দেখার কর্তব্য আমাদের।
- মমতা: ঢোল বাজানোর সঙ্গে পুজোর সম্পর্ক আছে। আমি আজ এলেও পুজো মণ্ডপ উদ্বোধন করি না। আগামিকাল থেকে মাতৃপক্ষ শুরু হবে। মহালয়ার পর থেকে সে কাজ আমি করি।
- মমতা: নচিকেতাকে আমি নাচি-নাচি বলি। এটা ভিতরকার। ও খুব ভাল গান গায়। ওঁর মেয়েও ভাল গান গায়। আমিও এ বছর পুজো সংখ্যার ক্যাসেটে গান গেয়েছি। শুনবেন।