Mamata Banerjee: ‘সকাল থেকে আমার মনটা কাঁদছে’, চাকরি বাতিল হওয়ায় আত্মহত্যার ঘটনায় আবেগপ্রবণ মমতা

"কাগজে ছবি দেখেছি, জলপাইগুড়িতে আত্মহত্যা করেছে। সেটা দেখে সকাল থেকে আমার মনটা কাঁদছে।"

Mamata Banerjee: 'সকাল থেকে আমার মনটা কাঁদছে', চাকরি বাতিল হওয়ায় আত্মহত্যার ঘটনায় আবেগপ্রবণ মমতা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 14, 2023 | 8:52 PM

আলিপুর: চাকরি বাতিলের পরই দুজন আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে এবিষয়ে কথা বলতে গিয়েই গলা বুজে এল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। তাই আলিপুর জাজেস কোর্টে দাঁড়িয়ে কথায়-কথায় চাকরি বাতিল না করার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “কাগজে ছবি দেখেছি, জলপাইগুড়িতে আত্মহত্যা করেছে। সেটা দেখে সকাল থেকে আমার মনটা কাঁদছে। সে কোন পার্টির সমর্থক আমি জানি না। কিন্তু পরিবারটা কাঁদছে। ওরাও আমাদের পরিবারের সদস্য। তাই দয়া করে কথায়-কথায় চাকরিটা খাবেন না।”

হঠাৎ করে চাকরি চলে গেলে গোটা পরিবার ভেসে যায়। সে কথার উল্লেখ করে এদিন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, “একজন চাকরি করছে বলেই বিয়ে করে সংসার করছে, চাকরি করে বলেই বাবা-মাকে দেখতে পাচ্ছে। হঠাৎ করে চাকরি চলে গেলে তারা খাবে কি? তাদের সন্তানদের মুখে কীভাবে খাবার তুলে দেবে?” এপ্রসঙ্গে আদালতের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, “যারা অন্যায় করেছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। কিন্তু একটা সুযোগ তো দিন। এমন অন্তত ব্যবস্থা করুন যাতে তারা আবার পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে।”

নাম না করে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমি যদি অন্যায় করি, আপনারা আমার গালে দুটো চড় মারলেও কিছু মনে করব না। আমি জীবনে কখনও অন্যায় করিনি। আমরা ক্ষমতায় আসার পর একটা সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। আর এখন রোজ কথায়-কথায় ৩-৪ হাজার চাকরি বাদ। কেউ যদি নীচু তলার অন্যায় করে থাকে,সবাই তো তৃণমূলের ক্যাডার নয়। তাহলে তোমরা কেন খাচ্ছ? দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কাড়বার ক্ষমতা আছে?” এপ্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি রায় তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর পুনরায় রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, “সবাই তৃণমূল নয়। একজন রোজ কথায় কথায় চাকরি বাদ দিচ্ছে। কালও দুজন আত্মহত্যা করেছে। যদি কেউ ভুল করে তার দায় কেন সবাই নেবে। একটু ভেবে দেখবেন। কেন হাজার-হাজার ছেলে-মেয়ে সমস্যায় পড়বে। আইন অনুযায়ীই তাদের চাকরিটা ফিরিয়ে দিন। প্রয়োজনে নতুন করে পরীক্ষা নিন। যেমন নির্দেশ দেবেন সেই মতো কাজ করব।”