Mamata Banerjee: বাবার মৃত্যুর পর ৬০ টাকা মাইনের চাকরি করতেন মমতা

সুজয় পাল | Edited By: Soumya Saha

Feb 12, 2024 | 7:50 PM

Mamata Banerjee: রাজনৈতিক সংগ্রামের পাশাপাশি নিজের ব্যক্তি জীবনেও প্রচুর সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে তাঁর। নিজেই মাঝেমধ্যে জানান, সেই সব পুরনো কথা। সোমবার ভবানীপুর মডার্ন স্কুলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে সে কথাই শোনালেন মমতা। আগে এই স্কুলের নাম ছিল ভবানীপুরের মন্মথনাথ প্রাইমারি স্কুল। নবরূপে সজ্জিত স্কুলের নতুন নাম হয়েছে ভবানীপুর মডার্ন স্কুল। এককালে এই ভবানীপুর মন্মথনাথ প্রাইমারি স্কুলে পড়াতেন মমতা নিজে।

Mamata Banerjee: বাবার মৃত্যুর পর ৬০ টাকা মাইনের চাকরি করতেন মমতা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Image Credit source: Facebook

Follow Us

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক লড়াই, সংগ্রামের কথা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা হয়। সেই বাম জমানার লড়াকু বিরোধী নেত্রী থেকে, রাজনৈতিক পালাবদল ও তারপর টানা তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। তবে রাজনৈতিক সংগ্রামের পাশাপাশি নিজের ব্যক্তি জীবনেও প্রচুর সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে তাঁর। নিজেই মাঝেমধ্যে জানান, সেই সব পুরনো কথা। সোমবার ভবানীপুর মডার্ন স্কুলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে সে কথাই শোনালেন মমতা। আগে এই স্কুলের নাম ছিল ভবানীপুরের মন্মথনাথ প্রাইমারি স্কুল। নবরূপে সজ্জিত স্কুলের নতুন নাম হয়েছে ভবানীপুর মডার্ন স্কুল। এককালে এই ভবানীপুর মন্মথনাথ প্রাইমারি স্কুলে পড়াতেন মমতা নিজে।

পুরনো সেই দিনের স্মৃতিচারণা করে মমতা বললেন, ‘আমি যখন এই স্কুলে পড়াতাম, তখন আমি প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আমার সঙ্গে স্কুল পড়ুয়াদের বয়সের ব্যবধান ছিল ওই পাঁচ-ছয় বছরের আর কি। আমিও তখন স্টুডেন্ট ছিলাম। কিন্তু সেই সময় বাবা সবে মারা গেছেন। হাত-খরচা চালানোর জন্য… এই চাকরিটা পেয়ে গেলাম। তখন মাইনে দিত ৬০ টাকা। ক্লাস এইট পর্যন্ত ছিল।’

মমতা বললেন, ‘আমি রোজ আসতাম হাঁটতে হাঁটতে। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট হয়ে, বিশুদের ওই গলিটা হয়ে, ভবানীপুর পাঠাগার হয়ে আসতাম।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা যখন কলেজে পড়তেন, সেই সময় সকালে কলেজের ক্লাস শেষ করে স্কুলে এসে পড়াতেন। সঙ্গে এও জানালেন, ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁর কাছে সবথেকে বেশি নম্বর পেত, সে কারণে পড়ুয়ারা তাঁকে খুব ভালবাসত। নবরূপে সজ্জিত ভবানীপুর মডার্ন স্কুলের উদ্বোধনে এসে বেশ আবেগঘন হয়ে গেলেন মমতা। জানালেন, মঞ্চের সামনে ভিড়ের মধ্যে নিজের পুরনো দিনের ছাত্রদেরও কয়েকজনকে দেখতে পেলেন তিনি। বললেন, ‘আমার অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে আজ দেখতে পাচ্ছি এখানে এসেছে। অনেক দূর দূর থেকে এসেছে। তাঁরা এখন অনেক বড় হয়ে গিয়েছে।’

 

Next Article