কলকাতা: রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় CREDAI (দ্য কনফেডারেশন অব রিয়েল এস্টেট ডেভলপারস’ অ্যাসোসিয়েশন)-র যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে। সেজন্য তাদের অনেকে বিরক্ত করতে পারেন বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এপ্রসঙ্গে নিজের পরিবারের কথাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “সব ব্যবসায়ী হেনস্থা হয় এজেন্সিদের দ্বারা। আমার পরিবারও হয়েছে। যদিও আমি কারও থেকে এক পয়সার চা খাইনি। এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত। আমি জানি, এই মামলা কখনও শেষ হবে না।” তাই ভীত না হয়ে বিশিষ্ট আইনজ্ঞের মাধ্যমে বিষয়টি সামলানোর পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)।
সাম্প্রতিককালে ইডি, সিবিআই-এর মতো এজেন্সিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মাস কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলেন বিরোধীরা। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন নেতা-সাংসদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এটা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় ধন-ধান্য স্টেডিয়ামে রিয়েল এস্টেটের কনভেনশন থেকেই ইডি-র এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, “কিছু জিনিস কিনলেই ইডি তদন্ত করতে পারে! একটা চেয়ার কেনা হল, একটা উইন্ডোজ কেনা হল, ইডি তদন্ত করবে?” এপ্রসঙ্গে মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক যেখানে হয়েছিল, সেই অডিটোরিয়ামের উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি মুম্বইয়ে গিয়েছিলাম। ২ দিন মিটিং হয়েছে। সেখালে লাইট থেকে সবকিছু বাইরে থেকে নিয়ে এসেছে। এই স্টেডিয়ামেরও আলো থেকে সবকিছু বাইরে থেকে এসেছে। এটা কি ইডি-র তদন্তের বিষয়?”
রাজ্যে হিংসা চলছে বলে বিরোধীরা যে অভিযোগ তুলেছে, এদিন নাম না করে তারও পাল্টা জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিংসা থেকেই বিরোধীরা বাংলার নামে কুৎসা রটাচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “অনেক কিছুতে বাংলা ১ নম্বর। এটাই সমস্যা। আমি প্রতিবাদ করব। আমি রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে চাই। বাংলার মায়ের সঙ্গে নয়।” বাংলায় বিভিন্ন ধর্ম, সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দার বাস রয়েছে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা দেশকে ভালবাসি, রাজ্যকে ভালবাসি। বৈচিত্র্য পছন্দ করি। বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাংলায় লোক এসে বাস করে। কেউ বলতে পারবে না, তারা নির্যাতিত।”
ব্যবসা হোক বা যে কোনও বিষয়ে কোনও সমস্যা হলে সরাসরি তাঁকে অভিযোগ জানাতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, অনলাইন সিস্টেম ‘মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি বলুন’ অথবা দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমেও অভিযোগ জানানো যাবে।