কলকাতা: বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের রোজ ভ্যালি যোগ তুলে ইডির দফতরে নালিশ বিধাননগরের এক তৃণমূল নেত্রীর। আর এই ঘটনাকে সামনে রেখে ‘পাল্টা দেওয়ার’ রাজনীতির অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। গত সোমবার তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ তোলেন বেশ কয়েকজন। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার সঙ্গে ইডি দফতরে যান তাঁরা। পাঁচদিনের মধ্যে শুক্রবার লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল। রোজ ভ্যালি থেকে লকেট সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পারিষদ তুলসী সিনহা রায়। এই ঘটনা প্রবাহে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। লকেটের বক্তব্য, “আসল তদন্ত আড়াল করতে এসব করা হচ্ছে। আসল উপভোক্তা কে তা তো ওঁদের দলেরই মুখপাত্র বলেছেন। এসব করে কিছু লাভ হবে না। আমি ছবিতে কাজ করতাম বলে আমাকে বলা।”
তবে তৃণমূল কিন্তু লকেটকে খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “লকেট দিদিমণির বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক অভিযোগ আমরা শুনেছি। ইডি যে নিরপেক্ষ নয় তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। হিমন্ত বিশ্বশর্মারা বিজেপিতে যেতেই সব তদন্ত বন্ধ। ইডি বিজেপির নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে এটা বিশ্বাস করাটা বোকামি। ইডি, সিবিআই বিজেপির শাখা সংগঠন হয়ে গিয়েছে। লকেট দিদিমণি যেহেতু বিজেপির সাংসদ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে বলে মনে হয় না।”
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “অপরাধীরা ধরা পড়বেই। অপরাধীরা নিজেদের সামলাক। সামলাতে যাতে না পারে সেটাই আমরা দেখব।” তবে এ নিয়ে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁর বক্তব্য, “যা বলার তা লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন।”