কলকাতা: তৎপরতার সঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। আদালতের নির্দেশে একাধিক মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগ সংক্রান্ত নথি সংগ্রহের জন্য একাধিকবার এসএসসি অফিস তথা আচার্য সদনে গিয়েছে সিবিআই-এর তদন্তকারী দল। এবার সেই অফিসে পৌঁছলেন সিবিআই-এর কম্পিউটার বিশেষজ্ঞরা। দফতরের একাধিক কম্পিউটার খতিয়ে দেখবে তারা। বৃহস্পতিবার সকালেই তাই অফিসের ডেটা রুমে প্রবেশ করেছেন ওই বিশেষজ্ঞরা।
নিয়োগ বেনিয়ম কী ভাবে হয়েছিল? ভুয়ো সুপারিশ পত্র বা ভুয়ো প্যানেলের কোনও রেকর্ড এখনও ওই সব কম্পিউটারে আছে কি না, তা জানতে চায় সিবিআই। শুধু এসএসসি নয়, প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রেও সার্ভার রুম খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা।
এই সব সার্ভার রুম বন্ধ থাকার কারণে নিয়োগ আটকে রয়েছে বলে সম্প্রতি দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি দাবি করেন, আদালতের অনুমতিতে সার্ভার রুম খুললেই ধাপে ধাপে শিক্ষক নিয়োগ হবে। একাধিক স্কুলে শিক্ষকের অভাব নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এমন দাবি করেছেন ব্রাত্য বসু। তিনি জানিয়েছেন, সার্ভার রুম খোলার জন্য সরকারের তরফে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। হাইকোর্ট অনুমোদন দিলেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। আদালত সেই অনুমোদন দেওয়ার আগেই সিবিআই আধিকারিকরা কম্পিউটারগুলি থেকে তথ্য বের করার চেষ্টা করছেন।
এ ছাড়, রিপোর্ট জমা দিতে কেন দেরি হচ্ছে, সেই প্রশ্নের উত্তরেও এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার সার্ভার রুম বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছিলেন। নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এসএসসি-র সার্ভার রুম বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছে। তাই সার্ভার রুম থেকে ডেটা আনা যাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন চেয়ারম্যান।
যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে তালিকায় নীচের দিকে থাকা প্রার্থীদের জায়গা দেওয়া হয়েছে, এমনই অভিযোগ উঠেছে এসএসসি-র বিরুদ্ধে। এই কেলেঙ্কারিতে বৃহস্পতিবারই শিক্ষা সচিব মনীশ জৈনকে তলব করা হয়েছে সিবিআই দফতরে।