কলকাতা: পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সকাল থেকে অভিযানে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের কলকাতার বৌবাজারের বাড়িতে চলছে তল্লাশি। বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীদের হাতে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, তার ভিত্তিতেই তাপস রায়ের বাড়িতে হানা। বিভিন্ন দুর্নীতিতে গত এক দেড় বছরে শাসকদলের বহু নেতার নাম উঠে এসেছে। তবে তাপস রায়ের নাম এর আগে কখনওই শোনা যায়নি। এ হেন নেতার বাড়িতে ইডির হানায় হতবাক বিরোধীরাও। কেউ হাবেভাবে কেউ আবার সরাসরিই বুঝিয়ে দিয়েছেন সে কথা।
ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন তাপস রায়। উত্তর কলকাতার রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের মুখ তিনি। এক সময় ছাত্র পরিষদের সভাপতি পর্যন্ত ছিলেন। প্রথমে কংগ্রেস, তারপর তৃণমূলে যোগ। মোটের উপর স্বচ্ছভাবমূর্তিরই নেতা তিনি। সেই তাপসের বাড়িতে এদিন ইডি হানার খবর শুনে মানতে অসুবিধা হচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর।
অধীর চৌধুরী বলেন, “তাপস রায়কে এরকম চোরচোট্টা বলে আমার ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না। এখন চোরের সঙ্গে থাকলে কিছু তো করার নেই। চোরের সঙ্গে থাকতে গেলে চোরের বদনাম নিতে হবে। সঙ্গ দোষে কিছু হলে আলাদা কথা। কিন্তু তাপস রায়কে আমি যতটুকু জানি, উনি এরকম দুর্নীতি করার মধ্যে থাকার সম্ভাবনা কম, আমি বলতে পারি।”
অন্যদিকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যর প্রতিক্রিয়া, “ব্যক্তি তাপস রায়ের বিরুদ্ধে আগে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। কিন্তু যে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে উনি যুক্ত, যেভাবে অয়ন শীলের কাছে নথিতে নাম এসেছে মন্ত্রী নেতাদের সেখানে তদন্ত দরকার।”
এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ তাপস রায়ের বৌবাজারের বাড়িতে হানা দেয় ইডির একটি দল। মহিলা সিআরপিএফ-সহ মোট ১৫ জন জওয়ান আছেন দলে। যদিও ইডির হানাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছে তৃণমূল।