Jyotipriya Mallick: ‘গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হলাম’, CGO-তে যাওয়ার পথে বললেন বালু
Jyotipriya Mallick: রেশন দুর্নীতি মামলায় বেশ কিছুদিন ধরেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম সামনে আসতে শুরু করেছিল। বিশেষত এই মামলায় ধৃত বাকিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথা সামনে আসার পরই সন্দেহ বাড়ে। এরপরই তাঁর বাড়িতে হাজির হয় ইডি।
কলকাতা: রাত ৩টে ২০ মিনিট। সল্টলেকের বিসি ব্লকের ২৪৫ নম্বর বাড়ির পেল্লায় গেটটা খুলে দিতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। এরপরই দেখ যায় ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে সবুজ পাঞ্জাবী পরে বেরিয়ে আসছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পোড় খাওয়ার রাজনীতিক জ্যোতিপ্রিয় ওরফে বালু মল্লিকের বাড়ির সামনে থেকে আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁর অনুগামীদের। তবে মন্ত্রী বেরিয়ে আসতে, সংবাদমাধ্যমের তরফে প্রশ্ন করা হয়, ‘কী বলবেন?’ নিরাপত্তার বেষ্টনীর মধ্যেই, গাড়ি থেকে গলা বের করে বালু বলেন, ‘গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হলাম।’ শুধু ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব নয়, বিজেপির দিকেও আঙুল তুলেছেন তিনি।
মন্ত্রীকে নিয়েই সোজা ইডি-র দফতর সিজিও কমপ্লেক্সের দিকে বেরিয়ে যায় গাড়ি। সল্টলেকের বাড়ি থেকে কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরের দূরত্ব খুব বেশি নয়। ৫ মিনিটেই সেখানে পৌঁছে যান মন্ত্রী। এরপর গাড়ি থেকে নামার সময় ফের ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব শোনা যায় তাঁর মুখে। তিনি আবারও বলেন, ‘গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হলাম আমি। এইটুকু শুধু বলে গেলাম। বিজেপি খুব ভাল কাজ করেছে।’ মন্ত্রীর মুখে কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি শোনা গেল।
রাজ্যের বর্তমান বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে যখন তল্লাশি চলছে, তখনই বিজেপির ষড়যন্ত্রের তত্ত্বের কথা উল্লেখ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছিলেন, সকলের মুখ বন্ধ করতে এই নোংরা খেলা খেলছে বিজেপি। শুধু তাই নয়, কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে মমতা বলেছিলেন, “বালুর সুগার আছে। ও যদি মরে যায় তাহলে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে হবে, ইডির বিরুদ্ধেও অভিযোগ করতে হবে।” আর সেই ষড়যন্ত্রের কথাই বললেন মন্ত্রী নিজেও।
উল্লেখ্য, বাকিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর বয়ানের রেশ ধরেই বৃহস্পতিবার তল্লাশি চালায় ইডি। তল্লাশি চলে জ্যোতিপ্রিয়র আপ্ত সহায়কের বাড়িতেও। তাঁদের বয়ানও মন্ত্রীর সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করা হয় বলে সূত্রের খবর। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশি চলাকালীন তদন্ত অসহযোগিতা করেন মন্ত্রী, সব প্রশ্নের উত্তরও দিনে চাননি বলে অভিযোগ। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।