Kolkata Medical College: একটানা অনশন, এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনকারীদের পাশে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Dec 12, 2022 | 8:55 AM

Kolkata Medical College: পরিস্থিতি এতটাই ঘোরাল হয় যে শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে যেতে হয় স্বাস্থ্যসচিবকে। তবে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম গেলেও সুরাহা মেলেনি বলেই সূত্রের দাবি।

Kolkata Medical College: একটানা অনশন, এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনকারীদের পাশে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (ফাইল ছবি)

Follow Us

কলকাতা: ছাত্রভোট নিয়ে উত্তাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Kolkata Medical College) হাসপাতাল।ঘেরাও অবস্থান, দফায় দফায় বৈঠকেও কাটছে না জট। জল গড়িয়েছে অনশনে। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরাল হয় যে শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে যেতে হয় স্বাস্থ্যসচিবকে। তবে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম গেলেও সুরাহা মেলেনি বলেই সূত্রের দাবি। এই পরিস্থিতিতে এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অনশনকারীদের পাশে দাঁড়াল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।

রবিবার অনশনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি সহ অন্যান্যরা। বিক্ষোভকারীদের সহমর্মিতা দেখান তিনি। এরপর মেডিক্যাল কলেজের বিক্ষোভকারীদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি ইরফান সাদিক জানান, “শুধু কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ নয়‌। রাজ্যের কোন‌ও কলেজে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ না থাকায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন পড়ুয়ারা।”

উল্লেখ্য, ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবি ঘিরে উত্তাল হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর ঘেরাও করে রাখা হয় অধ্যক্ষ এবং বিভাগীয় প্রধানদের। মেডিক্যাল ছাত্র অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, অবিলম্বে ছাত্র সংসদের নির্বাচন করাতে হবে। তাঁদের কথায়, ২২ ডিসেম্বর ভোটের দিন ঠিক হয়েছিল। এরপরই অজানা কারণে তা স্থগিত রাখার কথা বলা হয়। যা নিয়ে আমরণ অনশনের ডাক দেয় পড়ুয়ারা।

পাঁচ ডাক্তারি পড়ুয়া অনশনে। তিনজন এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলেও দাবি অন্যান্য আন্দোলনকারীদের। যা নিয়ে সরব চিকিৎসক সংগঠনেরই একাংশ। পাল্টা সাফাই দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষও। চিকিৎসক সংগঠনের নেতা মানস গুমটা বলেন, “ওদের ব্লাড গ্লুকোজ কমে গিয়েছে বলে আমরা শুনেছি। আমরা জানি না ইউরিন পরীক্ষার রিপোর্ট কী আছে। অবিলম্বে কর্তৃপক্ষ যদি হস্তক্ষেপ না করে, এই অনশন চলতে থাকলে জীবনসংশয় হয়ে যেতে পারে।”

অন্যদিকে চিকিৎসক-অধ্যাপক দেবাশিস বসুর বক্তব্য, “অধ্যক্ষ, এমএসভিপি নিঃসন্দেহে দিনরাত এটা নিয়ে ভাবছেন। সকলে যথেষ্ট চিন্তিত। আমাদের ছাত্ররা অসুস্থ হবে, সেটা কখনওই আমরা চাই না।”

Next Article