কলকাতা : পূর্ব ঘোষণা মতো উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে অনেক পড়ুয়ার হাতে অফার লেটার তুলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোরে সেই অনুষ্ঠান হওয়ার পরই দানা বাঁধে বিতর্ক। হুগলির বেশ কয়েকজন পড়ুয়া দাবি করেন, তাঁরা নিয়োগপত্র পেলেও সংশ্লিষ্ট সংস্থা লেটার দেওয়ার কথা অস্বীকার করে। এমন কোনও অফার লেটার তারা দেয়নি বলেই পড়ুয়াদের জানানো হয় সংস্থার তরফে। এই ঘটনায় এবার কার্যত দায় এড়াল রাজ্য সরকার। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, যে এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছিল, এটা তাদেরই ভুল।
হুগলির ১০৭ জন চাকরি প্রার্থী এই অভিযোগ সামনে এনেছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককে বিকল্প চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে বলে এ দিন জানান মুখ্য সচিব। তিনি দাবি করেন, নিয়োগকারী এজেন্সির ভুলেই যাবতীয় গাফিলতি। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এজেন্সির বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশে একটি এফআইআর করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
হুগলি জেলার বাসিন্দা ১০৭ জন কলকাতায় এসেও অফার লেটার পাননি। পরে হুগলি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজ থেকে তাঁদের অফার লেটার নিতে বলা হয়েছিল। সেই মতো মোবাইলে পিডিএফ নিয়েছিলেন তাঁরা। তাতে দেখা যায়, গুজরাতের একটি সংস্থায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তাদের। তার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে ও নথি দেখা হবে বলে জানানো হয়।
চিঠির নীচে সংস্থার যে কর্তার নাম ও ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছিল, সেই নম্বরে ফোন করলে প্রার্থীদের জানানো হয়, এই প্রশিক্ষণের বিষয়টা ভুয়ো। যে সংস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, সেই সংস্থায় ফোন করলে জানানো হয়, এ রাজ্যের সরকারের সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই, তারা কোনও চিঠিও দেয়নি।
এই ঘটনায় বাড়ে বিতর্ক। রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তোলে বিরোধীরা। সেই ঘটনায় এবার দায় অস্বীকার করল সরকার।