Presidency University: প্রেসিডেন্সিতে প্রেম করা উচিত না উচিত নয়? কী বলছেন নৃসিংহপ্রসাদ-সৃজনরা, কী বলছে তৃণমূল

সুমন মহাপাত্র | Edited By: জয়দীপ দাস

Jun 24, 2023 | 2:59 PM

Presidency University: ঘটনায় ক্ষুব্ধ এক প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। মুক্ত চিন্তার পরিসর বজায় থাকুক ক্যাম্পাসে। চাইছেন সকলেই।

Presidency University: প্রেসিডেন্সিতে প্রেম করা উচিত না উচিত নয়? কী বলছেন নৃসিংহপ্রসাদ-সৃজনরা, কী বলছে তৃণমূল
জোর বিতর্ক প্রেসিডেন্সিতে
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: প্রেসিডেন্সিতে (Presidency University) প্রেমে পড়া বারণ? বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগলদের পড়তে হচ্ছে কর্তৃপক্ষের নীতি পুলিশির মুখে। যুগল দেখলেই নাকি প্রো-অ্যাকটিভ হয়ে যাচ্ছে অথোরিটি। চলছে সিসিটিভির নজরদারি। ঘনিষ্ঠ অবস্থায় পড়ুয়াদের দেখলেই বাড়িতে যাচ্ছে চিঠি। ডেকে পাঠানো হচ্ছে অভিভাবকদের। অভিযোগ আসছে এমনটাই। বিভিন্ন ক্ষেত্রে জারি হচ্ছে ফতোয়া। রাশ টানা হচ্ছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও। শুক্রবার রাত থেকেই এ খবর সামনে আসায় জোর শোরগোল শুরু হয়েছে কলেজ স্ট্রিট চত্বরে। রাজনৈতিক মহলেও চাপানউতোর। কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যাচ্ছে এসএফআইকে (SFI)। 

ঘটনায় ক্ষুব্ধ এক প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। মুক্ত চিন্তার পরিসর বজায় থাকুক ক্যাম্পাসে। চাইছেন সকলেই। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তী বলছেন, “প্রেসিডেন্সির মুক্ত ভাবনা বজায় থাক। সেটা ভালবাসায় হোক, শিক্ষায় হোক, সেটা রাজনীতিতে হোক। প্রেম, পড়াশোনা, পলেটিক্স এই তিনটে জিনিস সর্বদা মুক্ত চিন্তার জায়গায় থাকা উচিত। প্রেসিডেন্সি সেই মুক্ত চিন্তার প্রতীক। কিন্তু, সেই মুক্ত চিন্তা যাতে স্বেচ্ছাচারিতায় রূপান্তরিত না হয় সেটা ছাত্রছাত্রীদেরও দেখা যেমন কাম্য। তেমনই আবার স্বাধীনতা যাতে খর্ব না হয় সেটা কর্তৃপক্ষের দেখা দায়িত্ব।” 

ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। তিনি বলছেন, “এই পুরোটা আসলে একটা চক্রান্ত। কারণ ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীরা আসে, এখানেই একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। একে অন্যের সঙ্গে মেলামেশা করে। তর্ক-বিতর্ক করে। আড্ডা মারে। এই সব কিছুর মধ্যে তাঁরা সিস্টেমকে, প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্ন করতে শেখে। সুতরাং হাত ধরে হাঁটা যাবে না আসলে মিটিং মিছিল করা যাবে না ফতোয়ারই সমান।” যদিও ইতিমধ্যেই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়েছে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অরুণকুমার মাইতি বলছেন, “নীতি পুলিশি করার কোনও ইচ্ছা আমাদের নেই। আমরা কয়েকজন পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকদের  নিয়ে একটা কাউন্সিলিং সেশনের আয়োজন করেছিলাম। সেখানেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়ার ব্যক্তিগত মুহূর্ত যাপনের কথা উঠে এসেছিল।” অন্যদিকে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি। তাঁর সাফ দাবি, প্রেমের দ্বার কখনওই প্রেসিডেন্সিতে রূদ্ধ হতে পারে না। তিনি বলছেন, “প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে, প্রেসিডেন্সি তো শিশু। প্রেসিডেন্সি হল PIL। প্রেসার অফ ইন্টালেক্ট অ্যান্ড প্রেসার অফ লাভ, প্রেমের দ্বার প্রেসিডেন্সিতে রূদ্ধ হতে পারে না”।

Next Article