গুপ্তিপাড়া: মাঝ নদীতে ভেসে যাচ্ছে ‘লাশ’! দৃশ্য দেখে চক্ষু চড়ক গাছ মন্ত্রী মশাইয়ের। তখন সবে হুগলির গুপ্তিপাড়া ঘাট থেকে কনভয়-সহ ভেসেল এ উঠেছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। ফুরফুরে মেজাজ। যাচ্ছেন শান্তিপুর। সেখানেই রয়েছে পুরসভার এক অনুষ্ঠান। যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। হঠাৎ মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীদের একজন চেঁচিয়ে উঠলেন। মুখে তাঁর বিস্ময়। চিৎকার বললেন, ওই দেখুন লাশ ভেসে যাচ্ছে, লাশ! তাঁর চিৎকার শুনেই জলে তাকান মন্ত্রী। খেয়াল করেন গোটা বিষয়টিই।
দেখলেন ভেলায় ভাসছে মশারি টাঙানো একটা বিছানা। ভেতরে যেন কেউ শুয়ে রয়েছেন। এদিকে এ দৃশ্য চোখে পড়তেই ততক্ষণে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ভেসেলে। এরই মধ্যে একজন বলে ওঠেন এখনও লখিন্দর প্রথা আছে বাংলায়! মনে হয় সাপে কাটা ব্যক্তিকে ভেলায় ভাসিয়ে দিয়েছে কেউ। তার কথা শুনে হতবাক হয়ে যান খোদ মন্ত্রী। ততক্ষণে দৃশ্য মোবাইল বন্দী করতে শুরু করে দিয়েছেন ওই ভেসেলে ফিরহাদের সঙ্গে থাকা লোকজনেরা। কিন্তু, ততক্ষণে মন্ত্রীর কপালে চওড়া হয়েছে চিন্তার ভাঁজ।
ফিরহাদ হাকিম মাঝ নদী থেকেই যোগাযোগ করলেন পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে। বললেন পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখতে। মন্ত্রীর ফোন পেয়ে তৎপর হয় পুলিশ। শুরু হয় খোঁজ। খানিক পরেই পুলিশের তরফে অবশ্য ফিরহাদ হাকিমকে জানানো হয় ভেসে যাওয়া ভেলায় লাশ ছিল না। ওটা লখিন্দর মূর্তি। কিছু দিন আগেই মনসা পূজা গিয়েছে। বোধহয় দূরের কোনও জায়গা থেকে ভাসনো হয়েছিল লখিন্দরের ওই মূর্তি। সেটাই ভাসতে ভাসতে চলে এসেছে গুপ্তিপাড়ায়।