Suvendu adhikari: ‘তিন হাজার কোটির দুর্নীতি, ৫০ হাজার চাকরি বিক্রি’, ফের বিস্ফোরক শুভেন্দু

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Aug 10, 2022 | 10:30 PM

Suvendu adhikari: সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহা। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোক সাহা। যা নিয়ে জোরদার চর্চা চলছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এই ইস্যুতে তোপ দাগলেন শুভেন্দু।

Suvendu adhikari: ‘তিন হাজার কোটির দুর্নীতি, ৫০ হাজার চাকরি বিক্রি’, ফের বিস্ফোরক শুভেন্দু

Follow Us

কলকাতা: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Scam Case) ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহা। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোক সাহা। যা নিয়ে ফের জোরদার চর্চা চলছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এবার ফের নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগতে দেখা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

তীব্র ভাষায় কটাক্ষবাণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এই পুরো কমিটিটাই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। মহামান্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত বাগের যে রিপোর্ট যা হাইকোর্টে জমা হয়েছে সেই রিপোর্টটা আপনি দেখলেই বুঝতে পারবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর আপ্ত সহায়ক এবং এই কমিটি, প্রত্য়েকে এই শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের বঞ্চিত করার বিনিময়ে তিন হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। আমি হিসাব দিয়ে বলেছি ৭৫ হাজার নিয়োগ হয়েছে ২০১১ থেকে ২১ সালের মধ্যে। এর মধ্য়ে কমপক্ষে ৫০ হাজার চাকরি বিক্রি হয়েছে। আপনি অদ্ভূতভাবে দেখবেন, এসএসসিতে বা প্রাইমারিতে চাকরির জন্য আবেদন করেনি এমন লোককে চাকরি পর্যন্ত দিয়েছে। তারপর তো অকৃতকার্যরাও রয়েছে যাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। এ রাজ্যে যা হয়েছে স্বাধীনতার পর কোনও রাজ্যে নিয়োগের ক্ষেত্রে এতবড় দুর্নীতি হয়নি।” 

এদিকে রাজ্য়ের ১৯ নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়েও বর্তমানে ফের জোরদার চর্চা চলছে রাজ্য-রাজনীতির অন্দরে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার এ প্রসঙ্গেও তৃণমূল নেতাদের এক হাত নিতে দেখা গেল শুভেন্দুকে। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। শুভেন্দুর অভিযোগ ওই নেতা তাঁর স্ত্রীর নামে বিধাননগরের ব্যাঙ্ক থেকে ৪ কোটি টাকার বেশি নোটবদল করেছিলেন। এ প্রসঙ্গেই শুভেন্দু বলেন, কার টাকা এগুলো? অনেকেই এরকম প্রচুর পরিমাণ সম্পদ তৈরি করেছেন। যা আয়কর বিভাগকে তাঁরা দেখাননি। এরকম সংখ্যা শুধু ১৯-২০ নয়। স্থানীয় স্তরে একশোদিনের কাজে আপনি যদি সুপারভাইজারদের গিয়ে ধরেন তাহলে দেখবেন সুপারভাইজার কম করে ১ কোটি টাকার মালিক। গ্রাম প্রধানকে গিয়ে যদি ধরেন তাহলে দেখবেন পাঁচ-সাত কোটি টাকার মালিক। ২০১৬ সালের পর থেকেই এই সম্পত্তি বৃদ্ধির বাড়াবাড়ন্ত দেখা গিয়েছে।” যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। 

Next Article