কলকাতা: চারপাশে দূষণ। দূষণে মোড়া জীবন। একের পর এক রোগ ব্যাধি থাবা বসাচ্ছে মানুষের শরীরে। সঙ্গে অবশ্য পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আমাদের অসতর্কতাও। দোকানে এখন সাজানো থাকে সারি সারি খাবার, জল, ঠান্ডা পানীয়। খিদে মেটাতে দোকানের পাশ দিয়ে গেলেই এই বিরাট সম্ভার আমাদের হাতছানি দেয়। কিন্তু দোকান থেকে আমরা যখন কোনও খাবার কিনি, তখন কি কিছু নিয়ম মেনে চলি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাল করে দেখে নিতে হবে ‘এক্সপায়েরি ডেট’ । মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার, ঠান্ডা পানীয়ে লুকিয়ে রয়েছে ক্যান্সারের বিপদ। সঙ্গে লিভার, পেটের সমস্যা তো রয়েইছে।
এক ক্রেতাই বলছেন, “লেখাগুলো এতই ছোট থাকে, খালি চোখে সেগুলি স্পষ্ট বোঝা যায় না। আবার অনেক লেখা অস্পষ্টও থাকে।”
কিন্তু সমস্যা তো এখানেই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ প্রশান্তকুমার বিশ্বাস বলেন, “মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার কিংবা জল বিক্রি করাটাই তো অপরাধ। কত মাস আগে পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে, সেটা খাবারের প্যাকেট কিংবা বোতলের গায়ে পরিষ্কার লেখা থাকা উচিত।”
অনেক ক্রেতা আবার সতর্কভাবে কেনাকাটাও করেন। সেখানেই মাঝেমধ্যে উঠে আসে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখানোর অভিযোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন অনেক ক্ষেত্রে পণ্যসামগ্রীর প্যাকেজিংয়ের সময়ে খরচ বাঁচাতে কিছু কিছু সংস্থা নিম্নমানের কালী ব্যবহার করে। সহজেই অস্পষ্ট হয়ে যায় ছাপার অক্ষর। এই ধরনের অভিযোগও উঠে আসছে। ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অভিযোগ এসে জমা পড়েছে।
ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, “২ মিলিমিটার, এইরকম সাইজের মধ্যে লিখতে হয়। ওইটুকুর মধ্যেই লিখতে হবে। কেউ যদি কমিয়ে দেয়, অর্থাৎ ছোট করে লেখে, সেটা বেআইনি। সেটা আইনের আওতায় আসে।” সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান সূত্র না বেরোলে, সেই সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী।