কলকাতা : এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে আগেই গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। আরসি ৫ মামলায় ইতিমধ্যেই ২১ অগস্ট পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে বা জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। তবে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির অন্য একটি মামলায় (আরসি ৩) মূল অভিযুক্ত হিসেবে সিবিআই-এর তরফে শান্তিপ্রসাদ সিনহার নাম দেওয়া রয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় আত্মসমর্পণ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন শান্তিপ্রসাদ। আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করার আবেদনও জানিয়েছিলেন। সেই মতো এদিন শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। শুক্রবার আলিপুরে সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন শান্তিপ্রসাদ। সেই মামলায় এস পি সিনহাকে ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এর পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম মিডলম্যান হিসেবে অভিযুক্ত প্রসন্ন রায়েরও এদিন আদালতে পেশ করা হয়েছিল। চার দিনের সিবিআই হেফাজত শেষে শুক্রবার প্রসন্নকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছিল। সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী এদিন প্রসন্নর জেল হেফাজতের আবেদন করেন। কিন্তু প্রসন্নর আইনজীবীর আবেদন ছিল, যে কোনও শর্তের বিনিময়ে প্রসন্নকে জামিন দেওয়া হোক। অভিযুক্তর আইনজীবী আদালতে জানান, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে প্রসন্ন সব রকমভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে সাহায্য করবে এবং কোনওরকম তথ্য প্রমাণ লোপাট করবে না।
এর পাশাপাশি, প্রসন্নর আইনজীবী আদালতে আরও জানান, প্রসন্নর শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। বাইপাস অপারেশন হয়েছে। নিয়মিত ওষুধ চলে। কিন্তু সিবিআই প্রসন্নর বিচারবিভাগীয় হেফাজতের জন্য আবেদন করা হলে, সে ক্ষেত্রে যাতে তাঁকে দুই দিন অন্তর মেডিক্যাল চেকআপ করা হয়, সেই আবেদন জানান প্রসন্নর আইনজীবী।
এদিকে সিবিআই আইনজীবীর বক্তব্য, এসএসসি দুর্নীতি একটি বৃহৎ ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। কয়েকটি জেনারেশনের বহু বছরের খাটনিকে নষ্ট করা হয়েছে। আগামী জেনারেশনও এসব দেখে চিন্তা করবে চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে। এর জন্য যারা যারা এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত, এখনও লুকিয়ে আছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। তাই প্রসন্নকে যদি জামিন দেওয়া হয়, এই তদন্তের ক্ষতি হবে বলেই আদালতে জানান সিবিআই আইনজীবী। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর প্রসন্নর ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।