কলকাতা: প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Recruitment Scam) মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে ফের একবার অসন্তোষ প্রকাশ আদালতের। সিবিআইয়ের উপর অসন্তুষ্ট আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের (Alipore CBI Court) বিচারক। এর আগে গত ১৯ মে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই চার্জশিটের উপর সিবিআইয়ের ব্যাখ্যা চেয়েছিল আদালত। শুক্রবার আদালতে সেই ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। কিন্তু এদিন আদালতে সিবিআইয়ের তরফে আরও ৩০ দিন সময় চাওয়া হয় প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিটের ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য। সেই নিয়েই সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক।
সিবিআই আদালতে যে চার্জশিট জমা দিয়েছিল, সেই চার্জশিট অনুযায়ী টাকার বিনিময়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, অর্থাৎ যাঁরা পাবলিক সার্ভেন্ট, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করা হয়নি? সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার থেকে ব্যাখ্যা চেয়েছিল বিশেষ সিবিআই আদালত। ২ জুন অর্থাৎ, আজ সেই ব্যাখ্যা আদালতকে জানানোর কথা ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। কিন্তু তারা আরও ৩০ দিন সময় চায় আদালতের কাছে। সেই সময়েই বিচারক সিবিআই আইনজীবীকে বলেন, ‘আপনাদের ভূমিকা ভীষণ ক্যাজুয়াল। এতদিন সময় দেওয়া যাবে না।’
প্রসঙ্গত, এদিন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ ও তাপস মণ্ডলকে পেশ করা হয়েছিল আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে। তিন জনের আইনজীবীই এদিন তাঁদের মক্কেলের জামিনের জন্য আবেদন জানান আদালতে। কিন্তু বিচারক তাঁদের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন। অভিযুক্তদের ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ১৬ জুন পর্যন্ত অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে এর আগেও বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তুলেছিল আদালত। কখনও নিম্ন আদালতে, কখনও আবার হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা। আজ আরও একবার সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ আদালতের।