কলকাতা: রাজ্যে ফের বাড়ছে কোভিডের সংক্রমণ। স্বাস্থ্যদফতর জানিয়েছে, গত একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫২৪ জন। বুধবারের সংখ্যাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে বৃহস্পতিবারের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। সূত্রের খবর, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার পরে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও। প্রায় আড়াই মাস পর এ রাজ্যে কোভিডের দৈনিক সংক্রমণ ১৫০০ পার করল। তাতে উদ্বেগ বাড়ছে। সপ্তাহখানেক আগেও রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ তিন অঙ্কের ঘরে ছিল। হঠাৎ করেই এই লাফ। রথযাত্রার আগে নতুন অ্যাডভাইজারি জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। একাধিক নিয়ম বিধি মানতে বলা হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শসংক্রান্ত এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক টিকাকরণ, প্রিকশনারি ডোজ় পূরণে জোর দিতে হবে। প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি প্রচার কর্মসূচি চালাতে হবে। জমায়েতে কোভিড আচরণবিধি সুনিশ্চিত করতে হবে। উপসর্গহীন, টিকা নেওয়া ব্যক্তিদেরই জমায়েতে অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। স্বাস্থ্যকর্মী, প্রথম সারিতে (Frontline Workers) থেকে কাজ করা মানুষদের জন্য প্রিকশনারি ডোজ় কার্যত বাধ্যতামূলক। এই ক্যাটিগরির অনেকে এখনও প্রিকশানারি ডোজ় নেননি বলেই খবর।
অ্যাডভাইজারিতে প্রবীণ, কো-মর্বিড বয়স্ক মানুষদের টিকাকরণ বাধ্যতামূলক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভিড়বহুল এলাকায় কোভিড আচরণবিধি মানতেই হবে। এখানে কোনওরকম আপোস চলবে না। গণপরিবহণে জীবাণুনাশকরণ সুনিশ্চিত করতে হবে। জনবহুল স্থানে থার্মাল স্ক্রিনিং, স্যানিটাইজেশন অত্যাবশ্যক।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতেও বাড়ছে কোভিড সতর্কতা। কিছুদিন আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছিল, কোভিড বাড়ছে, তাই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। ক্যাম্পাসে অধ্যাপক, পড়ুয়া, গবেষকদের মাস্ক পরার নির্দেশ দেওয়া হয়। কলকাতার অন্যতম নাম করা স্কুল সাউথ পয়েন্টও এবার কোভিড নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে তারা যথেষ্টই উদ্বিগ্ন। পরামর্শ দিয়েছে, কোনও পড়ুয়ার মধ্যে যদি কোভিডের উপসর্গ থাকে, তা হলে যেন সেই পড়ুয়াকে স্কুলে না পাঠানো হয়। একইসঙ্গে রোজ সন্ধ্যাবেলা নিয়ম করে স্কুলকে জানাতে হবে পড়ুয়ার স্বাস্থ্যের কথা। কী অবস্থা তা দেখেই স্কুল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াকে স্কুলে আসার অনুমতি দেবে।