কলকাতা: ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ (Covid Graph)। দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ জন। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) তরফে এমনটাই জানা গিয়েছে। তবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও হাসপাতালে ভর্তির হার খুবই কম বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। যদিও পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায়, সে ব্যাপারে রাজ্য সতর্ক এবং করোনা সংক্রমণের উপর বিশেষ নজর রাখা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও তার হার খুবই কম। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ জন। হাসপাতালে করোনা রোগীর ভর্তির হারও খুব কম। বয়স্ক বা কো-মর্বিডিটি যাঁদের রয়েছে, তাঁরাই সাধারণত হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তবে হাসপাতালগুলিতে আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। করোনা চিকিৎসার বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যেও সংক্রমণের হারের উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। সবমিলিয়ে, করোনা পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সামগ্রিকভাবে গোটা দেশে করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বৃহস্পতিবার যেখানে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজারের সামান্য বেশি, শুক্রবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজারের কোটায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এদিনই সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. মনসুখ মাণ্ডব্য। রাজ্য ও কেন্দ্রগুলির বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ঠিক কী, সে ব্যাপারে তিনি খোঁজ-খবর নেন এবং কোভিড মোকাবিলায় আগাম সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন। করোনা পরীক্ষার হার বাড়ানো এবং কোভিড-হটস্পটগুলি চিহ্নিতকরণের উপর জোর দিয়েছেন তিনি। এছাড়া হাসপাতালগুলিতে করোনা চিকিৎসার বন্দোবস্ত মোতায়েন রাখারও নির্দেশ দিয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আগামী ১০ ও ১১ এপ্রিল রাজ্যগুলির কোভিড হাসপাতালগুলিতে মক ড্রিল করা হবে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিকিম ও পুদুচেরিতে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে দুই রাজ্যর সরকার। এই দুই রাজ্যে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং ভিড়, জমায়েত এড়িয়ে চলার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।