কলকাতা: ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা অন্নপূর্ণা দেব। বয়স ৭০ বছর। গত বছর ১৯ মার্চ ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন তিনি। অন্নপূর্ণাদেবীর কথায়, এরপর তাঁর শরীর খারাপ করে ফেলে। অনবরত বমি করতে শুরু করেন। ১৫ দিন শিশুমঙ্গলে তিনি ভর্তিও ছিলেন। সে কারণে টিকার দ্বিতীয় ডোজ় আর নেননি তিনি। টিকা নেওয়ার পর কারও কারও এ ধরনের সমস্যা হলেও হতে পারে। প্রত্যেকের সমস্যা খুব গুরুতর না হলেও অন্নপূর্ণাদেবীর মতো অবস্থা নিঃসন্দেহে উদ্বেগ বাড়ায় পরিবারের। কিন্তু এরকম কিছু হলে সেক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার টিকা নেওয়া সমীচীন নাকি না নেওয়াই ভাল?
টিভি নাইন বাংলার ‘কোভিড হেল্পলাইন’ অনুষ্ঠানে এ প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই। সোমবার ডায়মন্ড হারবারের অন্নপূর্ণা বাগ ফোন করেছিলেন ‘কোভিড হেল্পলাইন’ অনুষ্ঠানে। সেখানেই তিনি তাঁর সমস্যার কথা চিকিৎসককে জানান।
অন্নপূর্ণাদেবীর কথায়, “গত ১৯ মার্চ প্রথম ভ্যাকসিন নিই আমি। এরপর আমার ব্যালেন্স চলে গিয়েছিল। আমি ১৫ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। খুব বমি করি। সে সময় শিশু মঙ্গলে ছিলাম ১৫ দিন। ওনারা আমাকে রিলিজ করেননি। নিউরোতে রেফার করে দেন। এরপর আমি বাড়ি চলে যাই। এরপরই করোনা পরিস্থিতি এত খারাপ হয় আর ডাক্তারের সঙ্গে কথাও বলা হয়নি, টিকাও নেওয়া হয়নি।”
অন্নপূর্ণাদেবী জানান, টিকায় সম্ভবত ওনার কোনও এলার্জি হয়ে গিয়েছিল। একইসঙ্গে তিনি জানান, গত ডিসেম্বরের ৪ তারিখ কোভিড আক্রান্ত হন। টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নেবেন কি না তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন তিনি। এই প্রশ্নেরই জবাবে চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই জানান, “ভ্যাকসিনের জন্য কারও যদি এ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হয় তা হলে পরে আর টিকা দেওয়ার কথা নয়। কারণ, টিকার একমাত্র এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যদি কিছু হয় তা হলে এটা। বাকি সবই আপেক্ষিক। সকলেই কিছু নিয়মাবলী মেনে টিকা নিতে পারেন। তবে কারও যদি টিকা নেওয়ার পর গা হাত পা ফুলে যায় বা হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়, হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হয়, প্রেশার নেমে যায় তা হলে তাঁর পরবর্তী ভ্যাকসিন ডোজ় না নেওয়াই ভাল।”
এই মুহূর্তে অনেকেরই মনে আরও একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এই সময় ইনফ্লুয়েঞ্জা হয় অনেকেরই। তা হলে আলাদা করে কোভিড চিনবেন কী করে? সে প্রশ্নের জবাবে অনির্বাণ দলুই বলেন, “গত দু’বছর ধরে যা ছিল সেই উপসর্গই রয়েছে। জ্বর, গলায় ব্যাথা, একটু কাশি, কাশির সঙ্গ কফ উঠতে পারে বা ড্রাই কফও হতে পারে। নাকের গন্ধ চলে যাওয়া, স্বাদ চলে যাওয়া, পাতলা পায়খানা, গায়ে প্রচণ্ড যন্ত্রণা, মাথায় ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট এগুলি সবই কোভিডের লক্ষণ। তবে মাথায় রাখতে হবে সবক’টা উপসর্গ আপনার একসঙ্গে এলে তবেই আপনার কোভিড এরকম নয়। এরমধ্যে একটা দু’টো থাকলেও আপনার করোনা হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় সম্পূর্ণ শতাংশ আছে। তাই জ্বর হলে বা উপসর্গ দেখা দিলেই পরীক্ষা করানো উচিৎ।”
আরও পড়ুন: Covid in Kolkata: ভাবছেন মৃদু উপসর্গ, মৃত্যহার কম! আসল বিপদ কোথায় ঘটবে স্পষ্ট করছেন চিকিৎসকরা
কলকাতা: ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা অন্নপূর্ণা দেব। বয়স ৭০ বছর। গত বছর ১৯ মার্চ ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন তিনি। অন্নপূর্ণাদেবীর কথায়, এরপর তাঁর শরীর খারাপ করে ফেলে। অনবরত বমি করতে শুরু করেন। ১৫ দিন শিশুমঙ্গলে তিনি ভর্তিও ছিলেন। সে কারণে টিকার দ্বিতীয় ডোজ় আর নেননি তিনি। টিকা নেওয়ার পর কারও কারও এ ধরনের সমস্যা হলেও হতে পারে। প্রত্যেকের সমস্যা খুব গুরুতর না হলেও অন্নপূর্ণাদেবীর মতো অবস্থা নিঃসন্দেহে উদ্বেগ বাড়ায় পরিবারের। কিন্তু এরকম কিছু হলে সেক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার টিকা নেওয়া সমীচীন নাকি না নেওয়াই ভাল?
টিভি নাইন বাংলার ‘কোভিড হেল্পলাইন’ অনুষ্ঠানে এ প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই। সোমবার ডায়মন্ড হারবারের অন্নপূর্ণা বাগ ফোন করেছিলেন ‘কোভিড হেল্পলাইন’ অনুষ্ঠানে। সেখানেই তিনি তাঁর সমস্যার কথা চিকিৎসককে জানান।
অন্নপূর্ণাদেবীর কথায়, “গত ১৯ মার্চ প্রথম ভ্যাকসিন নিই আমি। এরপর আমার ব্যালেন্স চলে গিয়েছিল। আমি ১৫ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। খুব বমি করি। সে সময় শিশু মঙ্গলে ছিলাম ১৫ দিন। ওনারা আমাকে রিলিজ করেননি। নিউরোতে রেফার করে দেন। এরপর আমি বাড়ি চলে যাই। এরপরই করোনা পরিস্থিতি এত খারাপ হয় আর ডাক্তারের সঙ্গে কথাও বলা হয়নি, টিকাও নেওয়া হয়নি।”
অন্নপূর্ণাদেবী জানান, টিকায় সম্ভবত ওনার কোনও এলার্জি হয়ে গিয়েছিল। একইসঙ্গে তিনি জানান, গত ডিসেম্বরের ৪ তারিখ কোভিড আক্রান্ত হন। টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নেবেন কি না তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন তিনি। এই প্রশ্নেরই জবাবে চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই জানান, “ভ্যাকসিনের জন্য কারও যদি এ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হয় তা হলে পরে আর টিকা দেওয়ার কথা নয়। কারণ, টিকার একমাত্র এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যদি কিছু হয় তা হলে এটা। বাকি সবই আপেক্ষিক। সকলেই কিছু নিয়মাবলী মেনে টিকা নিতে পারেন। তবে কারও যদি টিকা নেওয়ার পর গা হাত পা ফুলে যায় বা হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়, হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হয়, প্রেশার নেমে যায় তা হলে তাঁর পরবর্তী ভ্যাকসিন ডোজ় না নেওয়াই ভাল।”
এই মুহূর্তে অনেকেরই মনে আরও একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এই সময় ইনফ্লুয়েঞ্জা হয় অনেকেরই। তা হলে আলাদা করে কোভিড চিনবেন কী করে? সে প্রশ্নের জবাবে অনির্বাণ দলুই বলেন, “গত দু’বছর ধরে যা ছিল সেই উপসর্গই রয়েছে। জ্বর, গলায় ব্যাথা, একটু কাশি, কাশির সঙ্গ কফ উঠতে পারে বা ড্রাই কফও হতে পারে। নাকের গন্ধ চলে যাওয়া, স্বাদ চলে যাওয়া, পাতলা পায়খানা, গায়ে প্রচণ্ড যন্ত্রণা, মাথায় ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট এগুলি সবই কোভিডের লক্ষণ। তবে মাথায় রাখতে হবে সবক’টা উপসর্গ আপনার একসঙ্গে এলে তবেই আপনার কোভিড এরকম নয়। এরমধ্যে একটা দু’টো থাকলেও আপনার করোনা হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় সম্পূর্ণ শতাংশ আছে। তাই জ্বর হলে বা উপসর্গ দেখা দিলেই পরীক্ষা করানো উচিৎ।”
আরও পড়ুন: Covid in Kolkata: ভাবছেন মৃদু উপসর্গ, মৃত্যহার কম! আসল বিপদ কোথায় ঘটবে স্পষ্ট করছেন চিকিৎসকরা