কলকাতা: বেলাগাম করোনা (COVID) সংক্রমণ। লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় মৃত্যু। সেই সঙ্গে দাম বাড়ছে করোনা চিকিৎসারও। খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মেটিয়াবুরুজের প্রবীণ মনু মল্লিকের ছেলে মিলন মল্লিক করোনা আক্রান্ত হয়ে মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ২ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। ২৩ দিন পরে লড়াই থেমে যায় মিলনের।
২৩ দিনে ছেলের চিকিৎসার খরচ মেটাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন বাবা। ২৩ দিনে চিকিৎসার বিল হয়েছে ২৫ লক্ষ টাকা। ১৯ লক্ষ টাকা দিতে পেরেছিলেন বাবা। কিন্তু দেহ ছাড়েনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আরও ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ছেলের দেহ হাতে পেয়েছেন বাবা। করোনার প্রথম ঢেউ থেকেই সরকারি নির্দেশিকা রয়েছে চিকিৎসার ক্ষেত্রে। রয়েছে একাধিক বিধি-নিষেধ। পরিষেবার মূল্য বেঁধে দিয়েছে সরকার। কিন্তু সেসব কেউ মানছে না।
২০২০ সালের পয়লা অগস্ট স্বাস্থ্য কমিশন নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছিল, অপেক্ষাকৃত কমদামি ব্র্যান্ডের ওষুধ বেছে নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে রোগীর পরিবারকে। বেশি দামি ব্র্যান্ডের ওষুধ প্রয়োগ এড়াতে হবে। কিন্তু ওষুধের বিল দেখে মাথায় হাত পড়ছে সাধারণ মানুষের। বেশি দামি বিক্রি করা হচ্ছে সর্বাধিক খুচরো মূল্য বা এমআরপিতে।
সব খরচই আকাশছোঁয়া। বেড মিলছে না, মিললেও খরচ নাগালের বাইরে। অক্সিজেনের খরচ আলাদা ভাবে আদায় করা হচ্ছে। সাধারণ শয্যায় কোথাও কোথাও প্রতি ঘণ্টায় ৩০০ টাকা অক্সিজেন বাবদ নিচ্ছে হাসপাতালগুলি। বাইপ্যাপ বা ভেন্টিলেশন থাকলে দাম আরও চড়া। করোনার চিকিৎসা পেতে গিয়ে এ ভাবেই সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছেন রোগীর পরিজনরা।
আরও পড়ুন: মোটা ডিপোজিট, ১ দিনে চিকিৎসার খরচ ৭০ হাজার টাকা, শহর জুড়ে কোভিডের রমরমা ব্যবসা