Covid Vaccination: স্কুল বন্ধ থাকায় টিকা পেতে সমস্যা? এবার বাড়ি বাড়ি যাবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা
KMC: স্কুলে স্কুলে টিকাকরণের পরিকল্পনা থাকলেও স্কুল এই মুহূর্তে বন্ধ থাকার কারণে অনেক ছাত্র ছাত্রী স্কুলে গিয়ে টিকা নিতে পারছে না।
কলকাতা: ঠিক যেভাবে পোলিও টিকাকরণ নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করা হয়। একইভাবে কোভিডের টিকা (Covid Vaccination) নিয়েও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরবেন কলকাতা পুরসভার (KMC) স্বাস্থ্যকর্মীরা। মূলত ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের যাঁরা টিকা পাবে, তাদের জন্য এই বিশেষ প্রচার কর্মসূচি নিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অতীন ঘোষ।
স্কুলে স্কুলে টিকাকরণের পরিকল্পনা থাকলেও স্কুল এই মুহূর্তে বন্ধ থাকার কারণে অনেক ছাত্র ছাত্রী স্কুলে গিয়ে টিকা নিতে পারছে না। পুরসভার তরফে কলকাতার বিভিন্ন কোভ্যাকসিন সেন্টারে ১৫ থেকে ১৮ বছরের ছেলে মেয়েদের করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে আরও বেশি সংখ্যায় এই বয়সীদের ভ্যাকসিনেশনের লক্ষ্যে অতিরিক্ত ৮টি কোভ্যাকসিনের সেন্টার শুরু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।
মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার ১৩ নম্বর বরোতে একটি বৈঠক ছিল। সেখানে ছিলেন পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অতীন ঘোষ, বরো চেয়ারম্যান অনিন্দ্য রাউত। বৈঠক শেষে অতীন ঘোষ জানান, যারা এখনও টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেয়নি। তাদের বাড়িতে বাড়িতে স্বাস্থ্যকর্মীরা যাবেন। জানিয়ে আসবেন, তাদের স্থানীয় টিকাকরণ কেন্দ্র কোথায় আছে, কোথায় গেলে টিকা নিতে পারবে।
অতীন ঘোষ বলেন, “১৫ বছর থেকে ১৮ বছরের যে বাচ্চারা রয়েছে, যারা স্কুল বন্ধ থাকার কারণে ভ্যাকসিন নিতে পারছে না তারা যেন আমাদের মেগা সেন্টারে যায় তার জন্য মাইকে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার আশাকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাবেন। শুধু স্বাস্থ্যকর্মীরাই নন, আমাদের ভেক্টর কনট্রোলের কর্মীদেরও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরাও যখন বাড়িতে ভেক্টরের কাজ করতে যাচ্ছেন বা স্যানিটাইজেশনের জন্য যাঁরা যাচ্ছেন তাঁরা বলে দেবেন ১৫ থেকে ১৮ বছরের ছেলে মেয়েরা বাড়ির কাছে কোন সেন্টারে টিকা পাবে।”
এই কর্মীরাই বাড়িতে গিয়ে জানতে চাইছেন, এই বয়সী ছেলেমেয়েরা টিকা পেয়েছে কি না। অতীন ঘোষের কথায়, “৩৭টি মেগা সেন্টারের মধ্যে বাড়ির কাছে যেটি আছে তার ঠিকানা বলে দিচ্ছেন এই কর্মীরা। পাশাপাশি আমরা নতুন ৮টা মেগা সেন্টার খুলছি সেটা সম্পর্কেও জানানো হচ্ছে। সঙ্গে মাইকিংও হচ্ছে। মধ্য কলকাতা ও দক্ষিণ কলকাতাতে বেশি মেগা সেন্টার খোলা হচ্ছে। কারণ উত্তর কলকাতায় কোভ্যাকসিন সেন্টার অনেক আছে।”
টিকাই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মূল হাতিয়ার বলে মানছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার থেকে বেশি ছোঁয়াচে হলেও, তা গুরুতর আকার ধারণ করছে না টিকাপ্রাপ্তদের মধ্যে। সরকারও চাইছে বেশি করে টিকাকরণ।