Justice Rajasekhar Mantha: আদালতে ধাক্কা রাজ্য পুলিশের, সিপিএম দম্পতি খুনের মামলায় দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে পুনর্তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি মান্থার

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jan 16, 2023 | 5:57 PM

Damayanti Sen: কাকদ্বীপ থানার তদন্তের ওপর ভরসা রাখল না হাইকোর্ট। কাকদ্বীপ থানার চার্জশিটে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

Justice Rajasekhar Mantha: আদালতে ধাক্কা রাজ্য পুলিশের, সিপিএম দম্পতি খুনের মামলায় দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে পুনর্তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি মান্থার
২০১৮ সালের মামলা

Follow Us

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বড় ধাক্কা রাজ্য পুলিশের। কাকদ্বীপে সিপিএম দম্পতির পুড়ে মৃত্যুর ঘটনায় পুনর্তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কমিশনার দময়ন্তী সেনের (Damayanti Sen) নেতৃত্বে বিশেষ তদন্ত দল গঠন করে ফের তদন্ত করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। প্রায় ৫ বছর আগের সেই ঘটনায় তদন্ত করেছিল রাজ্য পুলিশ। ওই মামলায় চার্জশিট পেশ করা হয়। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। কিন্তু, সেই তদন্ত সন্তুষ্ট হননি ওই দম্পতির ছেলে। দেবু দাস ও ঊষা দাসের ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত করেছিল পুলিশ। বর্তমানে তাঁদের ছেলে দীপঙ্কর নিজেই আইনজীবী। পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট না হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।

কী সেই ঘটনা?

২০১৮ সালের ১৪ মে-র ঘটনা। ওই বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগের দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থানা এলাকায় আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় দেবু দাস এবং ঊষা দাসের। প্রাথমিক তদন্তে শর্ট সার্কিটের কথা উঠে এসেছিল। কিন্তু ওই দম্পতির ছেলে দীপঙ্কর দাস খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কাকদ্বীপ থানায়। দেবু দাস এবং ঊষা দাস এলাকায় সিপিএম কর্মী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।

পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট হননি ছেলে

কাকদ্বীপ থানার পুলিশের তদন্তে খুশি হতে পারেননি দীপঙ্কর। মোট ১৪ যাদের নামে এফআইআর করা হয়েছিল। পরে পুলিশ যাঁদের গ্রেফতার করে, তাঁরা সিপিএম কর্মী বলেই জানা যায়। কিন্তু সিপিএম দাবি করেছিল, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। এফআইআরে যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের বাদ দিয়ে অন্যদের গ্রেফতার করা হয়েচিল বলেও অভিযোগ ওঠে। মাস কয়েক আগে আদালতের দ্বারস্থ হন মৃত দম্পতির ছেলে তথা আইনজীবী দীপঙ্কর।

পুলিশের তদন্তে ভরসা নয়

কাকদ্বীপ থানার তদন্তের ওপর ভরসা রাখল না হাইকোর্ট। কাকদ্বীপ থানার চার্জশিটে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কমিশনার দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করতে হবে। তারাই ওই ঘটনার পুনরায় তদন্ত করবেন। সেই তদন্তে উঠে আসা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিচার হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।

Next Article