কলকাতা: তিনিই আগামীর কাণ্ডারী, তিনিই ক্যাপ্টেন। মীনাক্ষী (Minakshi Mukherjee) প্রসঙ্গ উঠতেই একযোগে সে কথা বলছেন বঙ্গ বামেরা নেতারা। ক্যাপ্টেনের ব্রিগেড হবে ঐতিহাসিক ব্রিগেড, লেখা থাকবে বঙ্গ রাজনীতির ইতিহাসের পাতায়। এমনটাই বলছেন বাম শিবিরের নেতা-কর্মীরা। মীনাক্ষীর গলায় গ্রাম্য মেঠো টান, অনাড়ম্বর জীবযাপন, তৃণমূল স্তরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ, তাঁর এই ভাবমূর্তি দেখেই অনেকে তাঁর সঙ্গে পায়ে সাদা হাওয়াই চটি, নীল পাড় সাদা শাড়ির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তুলনা টানেন। অনেকই বলেন মমতার (CM Mamata Banerjee) উত্থানের সঙ্গেও অনেকটাই মিল রয়েছে কুলটির ঘরের মেয়ে মীনাক্ষীর উত্থানের। এদিকে সিঙ্গুর আন্দোলনের হাত ধরেই বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায় জাঁকিয়ে বসেছিলেন মমতা। সঙ্গে দোসর ছিল নন্দীগ্রাম। বাম শাসনের কফিনে শেষ পেরকটাও পুঁতেছিলেন এই জায়গাগুলি থেকেই। সরকারে বসার আগে ও পরে, দুই সময়েই নানা ইস্যুতে আন্দোলনের সময় দলীয় কর্মীদের বাইকে চড়ে গোটা রাজ্যে ছুটে বেড়াতে দেখা গিয়েছে মমতাকে। এবার যেন একই রূপে দেখা গেল মীনাক্ষীকে।
এদিন ব্রিগেডের মঞ্চে মূল বক্তা তিনিই। দুুপুরে ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে গেলেন একদম সাদামাট পোশাকে। দিনেশ মজুমদার ভবন থেকে ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় চড়লেন বাইক। বসলেন দলীয় এক কর্মীর বাইকের পিছনে। যা দেখে অনেকেই আবার ফেলে আসার মমতার কথা মনে করেছেন।
এই মমতার বিরুদ্ধে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে বাম প্রার্থী হয়েছিলেন মীনাক্ষী। শুধু মমতা নন, লড়তে হয়েছিল শুভেন্দুর বিরুদ্ধেও। তবে ৬ হাজারের মাত্র বেশি কিছু ভোট পেয়ে ক্ষান্ত হতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু, তবুও তার উপর আশা হারায়নি দল। উল্টে আনিস খান ইস্যুতে লাগাতার ফুঁসে উঠতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। জেলেও গিয়েছেন। এমনকী সাম্প্রতিক সময়ে চলা নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের পাশেও দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এখন দেখার লোকসভা ভোটের মুখে মীনাক্ষীর এই ব্রিগেডের হাত ধরে কতটা অক্সিজেন পায় ‘শূন্য’ বাম শিবির।