কলকাতা : জেলায় জেলায় তৃণমূলের নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজ্য রাজনীতির অন্দর। অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্যের শাসক দলের। ১৯ জন নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলায় ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরই মধ্যে এবার পাল্টা চাপ তৈরির কৌশল তৃণমূলের। বাম-কংগ্রেস শিবিরকে একযোগে আক্রমণ শানিয়ে শাসক দলের দাবি, সম্পত্তি বৃদ্ধি যে শুধু তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদেরই হয়েছে, এমন নয়। বাম ও কংগ্রেস নেতাদেরও নাকি সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্র, অধীর চৌধুরী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক ভট্টাচার্য সহ আরও অনেক বাম-কংগ্রেস নেতার। এমনই দাবি তৃণমূলের।
ব্রাত্য বসুর এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। টিভি নাইন বাংলায় অশোক বাবু বলেন, “আমাদের সম্পত্তি বাড়লে, এতদিন ওনারা কী করছিলেন। ৩৪ বছর আমরা সরকারে ছিলাম। আমিও ২০ বছর মন্ত্রী ছিলাম, তারপর আরও পাঁচ বছর বিধায়ক ছিলাম। মেয়রও ছিলাম। একটা প্রশ্নও কেউ কোনওদিন তুলতে পেরেছে? এরা নিজেরা সমস্ত ধরনের চুরির সঙ্গে অভিযুক্ত। একের পর এক তা প্রমাণিত হচ্ছে। মানুষের নজর ঘোরানোর জন্য এখন কতগুলি পাল্টা অভিযোগ করে দিলেন। এতে হাসি ছাড়া আর কিছু পাচ্ছে না। যখন আমরা ভোটে দাঁড়াই, একটি হলফনামা জমা দিই। সেখানে তো সবই আছে, দেখে নিক না।”
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও। জানিয়েছেন, ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রমাণ দিতে হবে। না হলে মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। মহম্মদ সেলিম বলেন, “আমি ব্রাত্য বসুকে চ্যালেঞ্জ করছি। এখন সূর্যকান্ত মিশ্রর, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়দের নাম বলা হচ্ছে। পিটিশন দিক। ব্রাত্য বসু তাঁর আইনজীবীদের বলুন, ১২ সেপ্টেম্বেরর মধ্যে তিনি যে সিপিএম নেতাদের নাম বলেছেন, সাহস থাকলে তাঁদের নামে পিটিশন দিন। আমরা তো দিল্লিতে সেটিং করতে যাব না। আর যদি না করেন, তাহলে মানহানির মামলা হবে।”