কলকাতা: নবীন-প্রবীণ কাঁটা বিগত অস্বস্তির কারণ হয়েছে রাজ্যের শাসকদলের। প্রকাশ্যেই মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে একাধিক তাবড় তাবড় নেতাদের। কিছুদিন আগেই দলে ব্যাপক রদবদলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হবে কবে তা নিয়ে চাপানউতোর ছিলই। শেষ পর্যন্ত তা বড় খবরটা এদিন দিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজেই। সূত্রের খবর, মালদহ ও মুর্শিদাবাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে সরস্বতী পুজো মিটলেই এই বদল হবে। কিন্তু খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধীরা।
এদিন তৃণমূলের রাজনীতি নিয়ে ফের একবার তীব্র খোঁচা দিলেন সিপিআইএম নেতা শতরূপ ঘোষ। তাঁর সাফ কথা, “নতুন তৃণমূল পুরনো তৃণমূল বলে কিছু হয় না। আমরা জানি তৃণমূল মানে চোর তৃণমূল। তৃণমূল হচ্ছে বিয়ে বাড়ির মতো। একটা ব্যাচের খাওয়া হয়ে গেলে পরের ব্যাচ খেতে বসে। তৃণমূল একটা অদ্ভুত দল। কেউ ধর্ষণে অভিযুক্ত তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করে দেয়। কেউ চুরির দায়ে জেল খেটে এসেছে তাঁকে পার্লামেন্টে এমপি করে পাঠায়, রাজ্যে মন্ত্রী করে রাখে। ক্যামেরার সামনে ঘুষ খেতে দেখেছি যাঁদের। তাঁদের কয়েকজনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ করেছেন, মন্ত্রী করেছেন।তৃণমূলে কোনটা পাপ আর কোনটা পুণ্য তা সাধারণ মানুষের বোধবুদ্ধির বাইরে।”
এদিকে দলে রদবদল নিজে করবেন মমতা। সূত্রের খবর, মমতা ইতিমধ্যে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন। সাফ বলেছেন সংগঠন আমিই দেখব। ‘আমিই চেয়ারপার্সন, আমিই দশ বছর দল চালাব।’ পূর্ব মেদিনীপুরে কাঁথি সমবায় সমিতির বৈঠকে এমন বার্তাও দিয়ে ফেলেছেন। যদিও শতরূপ বলছেন, “তৃণমূল আসলে একটা ডুবন্ত নৌকা। তৃণমূলের ভিতরে যাঁরা আছে তাঁদের মধ্যে একদল আভাস পেয়ে গিয়েছে যে আমাদের আর কোনও ভবিষ্যত নেই। আর একদল আভাস পেয়ে গিয়েছে যে দলটারই আর কোনও ভবিষ্যত নেই। যতদূর ওঠার ওঠা হয়ে গিয়েছে। যতদূর খাওয়ার ছিল খাওয়া হয়ে গিয়েছে।” যদিও সিপিএমের খোঁচায় খুব একটা পাত্তা দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল নেতারা বলছেন, আগে শূন্যের ফাঁড়া কাটাক বামেরা। তারপর না হয় ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ শোনা যাবে!