কলকাতা : বাংলার চলচ্চিত্র জগৎকে অভিভাবকহীন করে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন কিংবদন্তী চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার। ১৪ জুন থেকে ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন। হাসপাতাল থেকে আর সুস্থ হয়ে ফেরা হল না পদ্মশ্রী তরুণ মজুমদারের। পরিচালকের ইচ্ছে ছিল মরনোত্তর দেহদানের। সেই মতো এসএসকেএম থেকে বেরিয়ে এনটিওয়ান স্টুডিয়ো হয়ে আবার এসএসকেএম হাসপাতালেই ফিরে আসে তাঁর দেহ। সেখানেই হয় মরনোত্তর দেহদান। প্রয়াত কিংবদন্তীর শেষ যাত্রায় কাস্তে-হাতুড়িতে শ্রদ্ধা জানানো হয় তাঁকে। তরুণ মজুমদারের গায়ে সাদা কাপড়ের উপর জড়ানো হয় লাল পতাকা। বুকের উপর রাখা গীতাঞ্জলি।
সোমবার প্রয়াত তরুণ মজুমদারকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সুজন চক্রবর্তী, শতরূপ ঘোষরা। অরূপ বিশ্বাস, মদন মিত্র, ইন্দ্রনীল সেনরাও ছুটে গিয়েছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার চেয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যুর পর দেহে ফুল, মালা যেন না দেওয়া হয়। তাঁর সেই ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়েই ফুল-মালা দেওয়া হয় না দেহে। তরুণ মজুমদারকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে সুজন বাবু বলেন, “সংস্কৃতি জগতে ইন্দ্রপতন। তরুণ মজুমদারের ছবি মানুষের বিবেকের কাজ করেছে। শুধু শিল্পজগতের নয়, বাংলার সমাজ জীবনের বড় ক্ষতি। তাঁর প্রয়াণে আমরা গভীর শোকাহত।”
এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে এনটিওয়ান স্টুডিয়োয় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল প্রয়াত চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদারের দেহ। সেখান থেকে দেহ দানের জন্য ফের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁর দেহ। হাসপাতালের মর্গেই দেহ গ্রহণ করেছেন চিকিৎসকরা। পরিচালকের ইচ্ছা মেনে তাঁর চক্ষুও দান করা হয়েছে।
পরিচালকের ইচ্ছা ছিল, তাঁর মৃত্যুর পর যেন কোনওরকম ‘আড়ম্বর’ না থাকে। তাঁর সেই ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়েই পরিচালককে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কোনও ফুল বা মালা ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকবার্তা জানিয়েছেন, কিন্তু পরিচালকের ইচ্ছাকে সম্মান জানাতে গান স্যালুটের ব্যবস্থা রাখা হয়নি।