বয়সের কারণে কাজ না করতে পারলে স্বেচ্ছায় কমিটি থেকে সরে দাঁড়াক, চাইছে হাল ফেরাতে মরিয়া সিপিএম

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 27, 2021 | 6:25 PM

CPIM: গত ১২ ও ১৩ অগস্ট সাংগঠনিক পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিল সিপিএম। সেই পর্যালোচনা রিপোর্ট ইতিমধ্যেই দলীয় সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে 'স্বেচ্ছাবসরের'।

Follow Us

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: ১০ বছর ক্ষমতার বাইরে। শেষ বিধানসভা নির্বাচনেও সিপিএমের প্রাপ্তি শূন্য। এই ব্যর্থতার দায় কার? সিপিএমের সাংগঠনিক পর্যালোচনার রিপোর্টে নেতৃত্বের দিকেই উঠছে অভিযোগের আঙুল। এবার দল চাইছে তরুণ মুখকে সামনে তুলে আনতে। একই সঙ্গে কমিটির পুনর্গঠন চাইছে দল।

গত ১২ ও ১৩ অগস্ট সাংগঠনিক পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিল সিপিএম। সেই পর্যালোচনা রিপোর্ট ইতিমধ্যেই দলীয় সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে ‘স্বেচ্ছাবসরের’। যাঁরা দলের কাজকর্ম করছেন না, নিষ্ক্রিয় তাঁরা সরে দাঁড়াক এমনই বক্তব্য দলের। সে জায়গায় তরুণ, কর্মক্ষমরা এগিয়ে আসুক চায় সিপিএম। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘যারা নিয়মিত দলের কার্যধারায় অংশ নিতে পারছেন না, তারা কমিটির সদস্যপদে থাকলে তরুণ, যোগ্য, কর্মক্ষমরা কমিটিতে স্থান পাওয়ার জায়গা সঙ্কুচিত হয়। যাঁরা শারীরিক ভাবে পারছেন না, অবদান রাখতে সক্ষম নন, স্বেচ্ছায় কমিটির সদস্যপদ থেকে সরে দাঁড়ানো প্রয়োজন।’ সে জায়গায় ‘দক্ষতা, যোগ্যতার হিসাব রেখে’ তরুণদের দায়িত্বে আনতে চাইছে তারা।

পার্টি সম্মেলন সম্পর্কিত পার্টি চিঠিতে এ প্রসঙ্গে বলাও হয়েছে কোন কমিটিতে সদস্যের বয়স সীমা কত রাখা হবে। যেমন, এরিয়া কমিটির ক্ষেত্রে সদস্যদের বয়স সীমা ৬৫ বছর রাখতে হবে। অর্ধেক সদস্যের বয়স সাধারণ ভাবে ৫০ বছরের নিচে থাকা বাঞ্ছনীয়। এলাকায় বসবাস করেন না এমন কাউকে এরিয়া কমিটির সদস্য করা উচিত নয়, মত দলের। অনধিক ৪০ বছর বয়সের সদস্যদের অগ্রাধিকার দানের বিষয় বিবেচনায় রাখার কথাও বলা হয়েছে সেখানে।

অন্যদিকে জেলা কমিটির ক্ষেত্রে কমিটির সদস্যদের সর্বোচ্চ বয়স ৭০ হবে। তরুণ দলকে জেলা কমিটির সদস্য করতে দৃষ্টি দিতে হবে। অনূর্ধ্ব ৫০ ও অনূর্ধ্ব ৪০ কমিটি সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। বয়স ও শারীরিক সক্ষমতার প্রশ্নটি কমিটি সদস্যদের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনায় রাখতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক-সাংগঠনিক কর্তব্য যথাযথ পালনে যে বর্ধিত দায়িত্ব পড়বে, তা বহন করার মতো সক্ষমতা বিবেচনায় রেখে জেলা কমিটি গঠন করতে চাইছে সিপিএম।

১০ বছর ধরে সিপিএম ক্ষমতায় নেই। এখন তো সংসদীয় রাজনীতির মানচিত্রেই বঙ্গ সিপিএমের অস্তিত্ব সঙ্কট। এর মধ্যে দলের আত্মোপলব্ধি, এতদিন ক্ষমতায় না থাকলেও, অভ্যাসে বদল আনা যায়নি। ক্ষমতায় থাকার অভ্যাস থেকেই গিয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিগত ১০ বছরে আমরা রাজ্যের সরকারে নেই। অথচ আমাদের আগেকার চলার পদ্ধতি বহুক্ষেত্রেই অপরিবর্তিত। বিরোধী দল হিসাবে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের দুর্বলতা রয়ে যাচ্ছে।’

তাই সিপিএমের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, উচ্চতর কমিটি থেকে পুনর্গঠনের কাজ শুরু করতে হবে। তা না হলে পথ দেখানো যাবে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেখাতে চায় কর্মীরা কাজ করছে না। কিন্তু সিপিএমের যে সাংগঠনিক পর্যালোচনা রিপোর্ট, সেখানে একেবারে সরাসরি নেতৃত্বের দুর্বলতাকেই ‘ফোকাস’ করা হয়েছে। এমনও বলা হয়েছে, এরিয়া কমিটি সিপিএমের জন্য এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ জো়নাল কমিটি নেই। শাখার সঙ্গে জেলার যে যোগসূত্র তা এরিয়া কমিটিই করে থাকে। কিন্তু এই এরিয়া কমিটির নেতৃত্বের জনসংযোগের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। এমনও হচ্ছে এলাকার লোকজনকে হয়ত চেনেনই না। সে ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাবসরই একমাত্র পথ বলে ধরে নিচ্ছে দল।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: ১০ বছর ক্ষমতার বাইরে। শেষ বিধানসভা নির্বাচনেও সিপিএমের প্রাপ্তি শূন্য। এই ব্যর্থতার দায় কার? সিপিএমের সাংগঠনিক পর্যালোচনার রিপোর্টে নেতৃত্বের দিকেই উঠছে অভিযোগের আঙুল। এবার দল চাইছে তরুণ মুখকে সামনে তুলে আনতে। একই সঙ্গে কমিটির পুনর্গঠন চাইছে দল।

গত ১২ ও ১৩ অগস্ট সাংগঠনিক পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিল সিপিএম। সেই পর্যালোচনা রিপোর্ট ইতিমধ্যেই দলীয় সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে ‘স্বেচ্ছাবসরের’। যাঁরা দলের কাজকর্ম করছেন না, নিষ্ক্রিয় তাঁরা সরে দাঁড়াক এমনই বক্তব্য দলের। সে জায়গায় তরুণ, কর্মক্ষমরা এগিয়ে আসুক চায় সিপিএম। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘যারা নিয়মিত দলের কার্যধারায় অংশ নিতে পারছেন না, তারা কমিটির সদস্যপদে থাকলে তরুণ, যোগ্য, কর্মক্ষমরা কমিটিতে স্থান পাওয়ার জায়গা সঙ্কুচিত হয়। যাঁরা শারীরিক ভাবে পারছেন না, অবদান রাখতে সক্ষম নন, স্বেচ্ছায় কমিটির সদস্যপদ থেকে সরে দাঁড়ানো প্রয়োজন।’ সে জায়গায় ‘দক্ষতা, যোগ্যতার হিসাব রেখে’ তরুণদের দায়িত্বে আনতে চাইছে তারা।

পার্টি সম্মেলন সম্পর্কিত পার্টি চিঠিতে এ প্রসঙ্গে বলাও হয়েছে কোন কমিটিতে সদস্যের বয়স সীমা কত রাখা হবে। যেমন, এরিয়া কমিটির ক্ষেত্রে সদস্যদের বয়স সীমা ৬৫ বছর রাখতে হবে। অর্ধেক সদস্যের বয়স সাধারণ ভাবে ৫০ বছরের নিচে থাকা বাঞ্ছনীয়। এলাকায় বসবাস করেন না এমন কাউকে এরিয়া কমিটির সদস্য করা উচিত নয়, মত দলের। অনধিক ৪০ বছর বয়সের সদস্যদের অগ্রাধিকার দানের বিষয় বিবেচনায় রাখার কথাও বলা হয়েছে সেখানে।

অন্যদিকে জেলা কমিটির ক্ষেত্রে কমিটির সদস্যদের সর্বোচ্চ বয়স ৭০ হবে। তরুণ দলকে জেলা কমিটির সদস্য করতে দৃষ্টি দিতে হবে। অনূর্ধ্ব ৫০ ও অনূর্ধ্ব ৪০ কমিটি সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। বয়স ও শারীরিক সক্ষমতার প্রশ্নটি কমিটি সদস্যদের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনায় রাখতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক-সাংগঠনিক কর্তব্য যথাযথ পালনে যে বর্ধিত দায়িত্ব পড়বে, তা বহন করার মতো সক্ষমতা বিবেচনায় রেখে জেলা কমিটি গঠন করতে চাইছে সিপিএম।

১০ বছর ধরে সিপিএম ক্ষমতায় নেই। এখন তো সংসদীয় রাজনীতির মানচিত্রেই বঙ্গ সিপিএমের অস্তিত্ব সঙ্কট। এর মধ্যে দলের আত্মোপলব্ধি, এতদিন ক্ষমতায় না থাকলেও, অভ্যাসে বদল আনা যায়নি। ক্ষমতায় থাকার অভ্যাস থেকেই গিয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিগত ১০ বছরে আমরা রাজ্যের সরকারে নেই। অথচ আমাদের আগেকার চলার পদ্ধতি বহুক্ষেত্রেই অপরিবর্তিত। বিরোধী দল হিসাবে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের দুর্বলতা রয়ে যাচ্ছে।’

তাই সিপিএমের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, উচ্চতর কমিটি থেকে পুনর্গঠনের কাজ শুরু করতে হবে। তা না হলে পথ দেখানো যাবে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেখাতে চায় কর্মীরা কাজ করছে না। কিন্তু সিপিএমের যে সাংগঠনিক পর্যালোচনা রিপোর্ট, সেখানে একেবারে সরাসরি নেতৃত্বের দুর্বলতাকেই ‘ফোকাস’ করা হয়েছে। এমনও বলা হয়েছে, এরিয়া কমিটি সিপিএমের জন্য এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ জো়নাল কমিটি নেই। শাখার সঙ্গে জেলার যে যোগসূত্র তা এরিয়া কমিটিই করে থাকে। কিন্তু এই এরিয়া কমিটির নেতৃত্বের জনসংযোগের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। এমনও হচ্ছে এলাকার লোকজনকে হয়ত চেনেনই না। সে ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাবসরই একমাত্র পথ বলে ধরে নিচ্ছে দল।

Next Article