তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ রাজ্য কমিটির, জোট নিয়ে ঝড় উঠল আলিমুদ্দিনে

ঋদ্ধীশ দত্ত |

May 29, 2021 | 10:59 PM

সম্ভাবনা সত্যি করে এ দিন রাত পর্যন্ত চলা বৈঠকে তন্ময় ভট্টাচার্যকে ৩ মাসের জন্য সেনসার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাক্তন বিধায়ককে সেনসার করেছে সিপিএমের রাজ্য কমিটি।

তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ রাজ্য কমিটির, জোট নিয়ে ঝড় উঠল আলিমুদ্দিনে
ফাইল ছবি

Follow Us

কলকাতা: সে দিন ২ মে। সবে পরিষ্কার হয়েছিল একুশের বিধানসভা ভোটের ফলাফল। যেখানে দেখা যায়, ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকা দলের পাশে আসনের সংখ্যা ছিল শূন্য। এরপরই একটি সংবাদ মাধ্যমের বিতর্কের অনুষ্ঠানে বসে বাম নেতৃত্বকে কার্যত ধুয়ে দেন উত্তর দমদমের সদ্য প্রাক্তন হওয়া বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। এরপর থেকেই আলিমুদ্দিনের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়, দল কি তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে? অবশেষে সম্ভাবনা সত্যি করে এ দিন রাত পর্যন্ত চলা বৈঠকে তন্ময় ভট্টাচার্যকে ৩ মাসের জন্য সেনসার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাক্তন বিধায়ককে সেনসার করেছে সিপিএমের রাজ্য কমিটি। বৈঠকে ঝড় ওঠে জোটের সিদ্ধান্ত নিয়েও।

সূত্রের খবর, শনিবার রাত পর্যন্ত বৈঠক চলে সিপিএম রাজ্য কমিটির। সেখানেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটি এই বিষয়ে রাজ্য কমিটির অনুমোদন চায়। শেষ পর্যন্ত সেনসার করার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে আগামী ৩ মাস দলের কোনও বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারবেন না তন্ময়বাবু। যদিও দলের কার্যপ্রণালীর বিরুদ্ধে মুখ খুললেও আরেক বরিষ্ঠ নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। কান্তির সঙ্গে মৌখিক আলোচনা সেরে বিষয়টিতে ইতি টেনেছেন তিনি।

‘বেসুরোর’ তালিকায় ছিলেন আরও দুই নেতা। ভোটে হারের পরে ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বর্ধমানের অমল হালদার ও অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়। তবে এরপর তাঁরা ক্ষমাও চেয়ে নেন। যে কারণে এ দিনের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ উঠলেও তা নিয়ে বিশেষ জলঘোলা হয়নি।

আরও পড়ুন: কোভিডে বাবা-মা হারা শিশুদের ১০ লক্ষ টাকা দেবে কেন্দ্র, একগুচ্ছ মানবিক সিদ্ধান্ত মোদীর

রাত পর্যন্ত চলা এই বৈঠকে আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট করা নিয়ে কার্যত সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেই ঝড়ের তীব্রতা এতটাই ছিল যে একে ইয়াসের সঙ্গে তুলনা করেছেন রাজ্য কমিটির জনাকয়েক সদস্য। বৈঠকে উপস্থিত অনেকেই দ্ব্যর্থহীন ভাষায় শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন, আইএসএফ-এর সঙ্গে জোটে গিয়ে আদতে দলের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে হাত মেলানোয় দলের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিতেও আঘাত লেগেছে বলে জানান একাধিক নেতারা। ভোটে তারই খেসারত দিতে হয়েছে দলকে। এমনটাও দলের একটি বড় অংশ মনে করছে বলেই খবর সূত্রের।

আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের ‘পাশে’ মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু! ঘরওয়াপসির ইঙ্গিত?

Next Article